মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ
কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি
শিকদারকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি বুধবার বিকালে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
“তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মুশতাকের মৃত্যু ছিল ‘ন্যাচারাল ডেথ’।”
মুশতাককে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব
বা গাফিলতির কোনো বিষয় প্রতিবেদনে এসেছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি অপু।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে
গত বছরের ৬ মে মুশতাককে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পরে অভিযোগপত্র দেওয়া হলে
সেখানেও তাকে আসামি করা হয়। গত দশ মাসে কয়েকবার আবেদন করেও জামিন পাননি মুশতাক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের। তবে কীভাবে তার মৃত্যু
হল, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে।
পরদিন সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত
শেষে মুশতাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাজীপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু
মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সমালোচনার মুখে গাজীপুর জেলা
প্রশাসক দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের
এই কমিটি গঠন করে।
পেশায় ব্যবসায়ী মুশতাক অনলাইনে
লেখালেখিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। তার সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা
সংগঠনের দিদারুল ভূইয়াও এ মামলার আসামি।
মুশতাকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ
হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি নতুন করে
জোরালো হয়ে উঠেছে। কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘মানবাধিকারের
চরম লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন
অবশেষে জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
মুশতাকের মৃত্যু: তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি
মুশতাকের মৃত্যুর কারণ জানতে ‘প্রয়োজনে’ তদন্ত কমিটি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুশতাকের মৃত্যু: গাজীপুর জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি