শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পথে ইতিহাসে নাম লেখান পোলার্ড। মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মারেন এক ওভারে ছয় ছক্কা। বেধড়ক এই পিটুনির শিকার হওয়ার বোলার আকিলা দনাঞ্জয়া, আগের ওভারেই যিনি করেছিলেন হ্যাটট্রিক!
১৩২ রান তাড়ায় মাত্র ৩.২ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ পঞ্চাশ ছাড়ানোর পর হ্যাটট্রিক করেন দনাঞ্জয়া। টানা তিন বলে ফেরান এভিন লুইস, ক্রিস গেইল ও নিকোলাস পুরানকে। দনাঞ্জয়ার পরের ওভারেই পোলার্ডের সেই তাণ্ডব।
প্রথম বলটি লেংথ ডেলিভারি, হাঁটু গেড়ে লং অনের ওপর দিয়ে ওড়ান পোলার্ড। দ্বিতীয় বল স্টাম্পে হাফভলি, এবার বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সাইটস্ক্রিনে। তৃতীয় ডেলিভারিও হাফভলির মতো, অফ স্টাম্পের বাইরে। এবার ছক্কা লং অফ দিয়ে।
চতুর্থ ডেলিভারি একটু টেনে দেন দনাঞ্জয়া। পোলার্ড হাঁটু গেড়ে স্লগ করে পাঠান মিড উইকেট বাউন্ডারিতে। পঞ্চম বলটি দনাঞ্জয়া করেন লেগ স্পিন, অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল আরও। পোলার্ড গায়ের জোরে সেটিকে ভাসিয়ে দেন লং অনের ওপর দিয়ে।
ছয় ছক্কা এড়াতে এরপর অ্যাঙ্গেল বদলে রাউন্ড দা উইকেট আসেন দনাঞ্জয়া। কিন্তু লাভ হয়নি। লেগ স্টাম্পে থাকা বল কবজির জোরে ফ্লিক করেন পোলার্ড। বল আছড়ে পড়ে মিড উইকেট গিয়ে গ্যালারিতে। সতীর্থদের কুর্নিশ করে পোলার্ড উদযাপন করেন ছয় ছক্কা।
ম্যাচের পর পোলার্ড জানালেন ছয় ছক্কার অভিযান তার ভাবনায় কী খেলা করছিল।
“ তৃতীয়টির পর আমার মনে হচ্ছিল, ছয় ছক্কা মারতে পারি। সুপার ফিফটিতেও এটা করেছি (ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট, ৫ ছক্কা মেরেছিলেন)। আমি স্রেফ নিজের ওপর আস্থা রেখেছি।”
“ পঞ্চম ছক্কার পর জানতাম, বোলারকে চাপে ফেলে দিয়েছি। সে রাউন্ড দা উইকেট দিয়েছিল, কাজটা কঠিন ছিল তার জন্য। আমি স্রেফ নিজেকে বলেছি, ‘করে ফেলো।”
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পোলার্ডের আগে ছয় ছক্কার স্বাদ পেয়েছেন কেবল যুবরাজ সিং, ওয়ানডেতে হার্শেল গিবস। টেস্টে কেউ পারেননি এখনও।