তিনি বলেছেন, “আগামী ২৬ মার্চের
মধ্যে এই কালো আইন বাতিল করা না হলে কালো আইন তৈরির কারখানা সংসদ ভবন ঘেরাও করা হবে।”
আর ২৬ মার্চের পর ‘সারা দেশের
মানুষকে নিয়ে’ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দেন নূর।
শুক্রবার বিকালে শাহবাগে
জাতীয় জাদুঘরের সামনে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সকলের
নিঃশর্ত মুক্তি এবং ওই আইন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আয়োজিত বিক্ষোভ
সমাবেশে কথা বলছিলেন তিনি।
এর আগে গত ৩ মার্চ প্রেসক্লাব
থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে এক পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা
ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম
‘নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে ওই কর্মসূচিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ২৬ মার্চের মধ্যে দাবি
পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। নুরুল হক নূরও অংশ নিয়েছিলেন ওই কর্মসূচিতে।
শুক্রবারের সমাবশে তিনি বলেন,
“আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়েছিল ছাত্র-জনতার
আপসহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এবং শহীদ জয়নাল সিপাহী, ডা. মনোয়ার হোসেনের রক্তের মধ্য
দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। মুশতাকের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আজকের মুশতাকের
রক্তের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পতন হবে।”
এ সময় সমাবেশ থেকে ‘বাঁশের
লাঠি তৈরি কর, বাংলাদেশ রক্ষা কর’, ‘স্বৈরাচার হটাও, দেশকে বাঁচাও’- ইত্যাদি স্লোগান
দেওয়া হয়।
পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের
উদ্দেশে নূর বলেন, “আপনারা, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ
প্রধান এবং সিভিল সোসাইটির লোকেরা সরকারকে ‘না’ বলে সাধারণ জনগণের সাথে রাস্তায় নেমে
পড়ুন, জনগণের সাথে থাকুন।”
অন্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার
পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, শ্রমিক
অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান সমাবেশে বক্তব্য দেন।