প্রধানমন্ত্রী এই উড়োজাহাজের নাম রেখেছেন ‘শ্বেত বলাকা’।
শুক্রবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের পর ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দিয়ে উড়োজাহাজটিকে স্বাগত জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী উপস্থিত থেকে উড়োজাহাজটি গ্রহণ করেন।
এ সময় বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, “শ্বেত বলাকা উড়োজাহাজটি যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান তার ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে পারবে। যাত্রীদের উন্নত সেবাও দিতে সক্ষম হবে।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মাসে উড়োজাহাজটি দেশে পৌঁছানোয় আমরা আনন্দিত। আশা করি আগামী ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেত বলাকা’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।”
গত ৪ মার্চ কানাডার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড বোম্বার্ডিয়ার অ্যারোস্পেস থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘শ্বেত বলাকা’। নতুন এই উড়োজাহাজের আসন সংখ্যা ৭৪।
কানাডা সরকারের সঙ্গে জি-টু-জি চুক্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের মধ্যে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রথম এবং এ বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয়।
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিমান বহরে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দু’টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং চারটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ আছে। তৃতীয় ড্যাশ-৮ যুক্ত হওয়ায় বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ২১টি।