ক্যাটাগরি

আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের পর্ষদ সদস্য হল বাংলাদেশ

চলতি
বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
এই পর্ষদ কাজ করবে বলে শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়।

জাতিসংঘের
সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশনের আওতায় বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণে আন্তর্জাতিক সি বেডে খনিজ
সম্পর্কিত সব ধরণের কার্যক্রম
পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে
আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ (সি বেড) কর্তৃপক্ষ।
৩৭ সদস্যের এ সংস্থার সদরদপ্তর
জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টোনে।

সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশে ভূমি-ভিত্তিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার অর্থাৎ ব্লু ইকনোমিকে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।

“এছাড়া
মিয়ানমার ও ভারতের সাথে
সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওয়া বিশাল সমুদ্র সীমার সবটুকু সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।”

বাংলাদেশ
মিশন বলছে, “সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাসমূহ পরিপূর্ণভাবে ঘরে তুলতে জাতীয় সমুদ্রসীমার বাইরে বিশেষ করে আইএসএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সমুদ্র সম্পদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারে বাংলাদেশের পূর্ণ প্রবেশ করা প্রয়োজন। এ কারণে আইএসএ-এর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

আন্তর্জাতিক
সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এ বিষয়ে ভূমিকা
রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের নিজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে সরকার।

বাংলাদেশ
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি।