কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম রেজাউল করীম বুধবার এই আদেশ দেন।
হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া এই শিক্ষক হলেন ঈশ্বদীর পাকশী রেলওয়ে কলেজের কম্পিউটার
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাজিবুল আলম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছর ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের
পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুর্যাল ভাঙে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।
এই ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে কলেজের এই শিক্ষক ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন;
যেখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাইকে জড়িয়ে মন্তব্য করা হয়।
রজিবুল আলমের এই লেখায় ‘সংক্ষুব্ধ’ হয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা
মো. মিজানুর রহমান মিজু ওই পেইজটির স্ক্রিন শট নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায়
২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
রাজিবুলের স্ত্রী আসমা খাতুন (৪০) বলেন, মামলার সংবাদ পাওয়ার পর উচ্চ আদালত
থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন রাজিবুল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজিবুল
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সৈয়দ হাবীবুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন
আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।
সেই থেকে তিনি কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে আছেন। বুধবার ছিল আদালতে হাজিরার
ধার্য দিন।
রাজিবুল আলমের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, বুধবার বিকালে মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার এএসআই মাসুদুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাব বলে
মনে করি।”
এই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যেকোনো সময়ই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ
করতেই পারেন। যেহেতু এই মামলার আসামি কারাগারে আছেন সে কারণে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে তা আদালতের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
সেটাই করেছেন।