চলতি বছর বসন্ত থেকে পুরো সাসপেনশনযুক্ত এক জোড়া ই-বাইক বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ফোকসভাগেন মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান। পোর্শে টায়কান ক্রস টারিসমো নামের নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ির ঘোষণা দেওয়ার সময় নতুন ই-বাইক দুটিরও ঘোষণা এলো বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
নতুন ই-বাইক দু’টির শ্রেণিবিভাগ হলো স্পোর্ট এবং ক্রস৷ স্পোর্ট হচ্ছে প্রতিদিনকার জীবনে ব্যবহার করা যাবে এমন একটি রোড বাইক। অন্যদিকে, ক্রস হচ্ছে অফরোডিং করার জন্য বিশেষায়িত।
কার্বন ফাইবার ফ্রেইমে বানানো স্পোর্ট ই-বাইকটির সামনে-পেছনে রাখা হয়েছে লাইট, আছে শিমানো’র মিড-ড্রাইভ মোটর। যদিও কার্বন ফাইবার ফ্রেইম দিয়ে বানানো বাইসাইকেলের দাম প্রচলিত বাইসাইকেলের থেকে বেশিই হয়, তবুও ২২ কেজির চেয়ে হালকা এই ই-বাইকের দাম শুনে ‘চমকে উঠতে’ পারেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জেফ বেজোসও, এমনটাই ভাষ্য ভার্জের। বাইসাইকেলটির দাম ১০ হাজার সাতশ’ ডলার।
এদিকে ক্রস ই-বাইকটিও একই ফিচারের, তবে বাড়তি যোগ হয়েছে দু’টি ম্যাগুরা-এমটি ট্রেইল হাইড়্রোলিক ডিস্ক ব্রেক। এই ব্রেকগুলো তুলনামূলক বড় আর ‘তাপ প্রতিরোধী’ বলে জানিয়েছে পোর্শে। ২২ কেজির একটু বেশি ভরের এ ই-বাইকের দাম ধরা হয়েছে আট হাজার পাঁচশ’ ৪৯ ডলার৷
দু’টিতেই রাখা হয়েছে শিমানো ইপি৮ মোটর যা আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় ছোট। এর ফলে প্যাডল দিয়ে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে চালানো যাবে বাইসাইকেলটি। গতির অংকটা ধীর মনে হতে পারে, তবে ইইউ-এর নিয়মে এটিই সর্বোচ্চ বৈধ গতি।
জ্বালানীচালিত গাড়ি নির্মাতাদের দ্বিচক্রযান তৈরিতে আসার ক্ষেত্রে পোর্শেই সর্বশেষ নাম। এক্ষেত্রে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে দাম ছাড়া আরও কিছু কারণেও সন্দেহ জাগে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক বেশি গুঞ্জন তোলার পর তা ব্যর্থ হয়। এমনটা বোঝাতে গিয়ে জেনারেল মটর্স-এর আরিভ ই-বাইকের নাম আনা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। অন্যদিকে, হার্লি-ডেভিডসন এর সম্প্রতি আনা সিরিয়াল ১ ই-বাইকগুলোর মতো আশা জাগানিয়া কারণও রয়েছে।
চলতি বছর বসন্ত থেকেই এই বাইসাইকেলগুলো বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়া হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।