বিবিসি জানায়, বুধবার উত্তর প্রদেশের হারদই জেলায় এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের হত্যাকারী সন্দেহে পুলিশ সরভেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তিকে গেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, সরভেশ তার ১৭ বছরের মেয়ের কাটা মাথা হাতে করে থানার দিকে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ এ ঘটনা ভিডিও করেছে। ভিডিওতে সরভেশকে বলতে শোনা যায়, তার পছন্দ নয় এমন একজনের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
সম্প্রতি সারভেশ তার মেয়ের প্রেমের বিষয়ে জানতে পারেন। যা তাকে খুবই ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। তাই বাড়িতে মেয়েকে একা পেয়ে একটি কক্ষে তাকে আটকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেয়ের মাথা তিনি কেটে ফেলেন।
পরে তিনি মেয়ের কাটা মাথা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করলে পথচারীরা স্থানীয় থানায় খবর দেন।
পুলিশ আসার পর ওই ব্যক্তি জানান, মেয়ের শরীর এবং যে অস্ত্র দিয়ে তিনি শিরশ্ছেদ করেছেন তা এখনো তার বাড়ির কক্ষেই আছে। আর তিনি কাটা মাথা নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন।
পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতে ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে’ (অনার কিলিং) এভাবে পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনা নিয়মিতই ঘটে। নারীরা এর শিকার বেশি হন।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ভারতে নারীর বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের তালিকায় শীর্ষে ছিল উত্তর প্রদেশ।
২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে বলেন, অনার কিলিংয়ে দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিদেরও সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।