ক্যাটাগরি

সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আরও ৪ কোটি ডোজ টিকা কেনার চেষ্টায় বাংলাদেশ: রয়টার্স

স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলেছে, “আলোচনা চলছে, এখন দেখা যাক।”

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলার লক্ষ্যে আরও তিন কোটি ডোজ টিকা আমদানির নির্দেশ তিনি দিয়েছেন।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।

তার আগে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছিল, সেটাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।

আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
 

কোভিড-১৯: সরকারের কেনা টিকার প্রথম চালানে এল ৫০ লাখ ডোজ

দ্বিতীয় চালানে এল ২০ লাখ ডোজ টিকা
 

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশে। ফাইল ছবি

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশে। ফাইল ছবি

টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। গত এক মাসে অর্থকোটির বেশি মানুষ এ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশের মত।

নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে। 

বিশ্বে টিকা উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া এখন প্রতিদিন গড়ে ২৪ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে।

কিন্তু তাদের প্রথমেই নজর দিতে হচ্ছে ভারতের নিজস্ব চাহিদার দিকে। এর বাইরে বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, মরক্কো ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা টিকা সরবরাহ করছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ নতুন করে টিকা কেনার যে চেষ্টা শুরু করেছে, সে বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট কোনো মন্তব্য করেনি।

সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ সেরাম ইনস্টিটিউট সিইওর

কোভিড-১৯: টিকার দৌড়ে কোন দেশ কোথায়

টিকার চাহিদা কতটা মেটাতে পারবে ভারত?
 

স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান রয়টার্সকে বলেছেন, কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের, যার মধ্যে জুনের মধ্যে ১ কোটি ডোজের মত পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোও যাতে টিকা পায়, তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভির নেতৃত্বে কোভ্যাক্স নামের এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে প্রথম চুক্তির আওতায় যে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ সরকার কিনেছে, তা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তারাই বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।

তবে ভবিষ্যতে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আনার কাজটি কাদের মাধ্যমে করা হবে, বাংলাদেশ সরকার এখনও ‘সে সিদ্ধান্ত নেয়নি’ বলে স্বাস্থ্য সচিবের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।  

এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা বলেছেন, “নতুন করে টিকা কেনার কোনো অর্ডার আমরা দিইনি। এখন পর্যন্ত মোট তিন কোটি ডোজের অর্ডারই আমরা দিয়েছি। বাড়তি অর্ডারের বিষয়টি নির্ভর করবে সরকারের ওপর।”