শনিবার
রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আন্দোলন-সংগ্রামের
অনেক পথ আছে। উন্মুক্ত রাজপথে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। সেই
বিকল্প পথে যদি কর্মীরা যায়, দেশটার কী অবস্থা হবে এটা সকলকে ভাবতে হবে।”
গয়েশ্বর
বলেন, ‘অস্ত্র বা পোশাকের ভয় দেখিয়ে’ বিএনপি কর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানো
যাবে না।

“সেই
কারণে বলছি, বলতে দিন, প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফেরত আসতে দিন। গণতন্ত্র এলে
গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনে যারা চাকরি করবেন, তারা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে
নিজেদেরকে মানুষের সামনে হাজির করতে পারবেন।”
গয়েশ্বর
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে গণতন্ত্রের জন্য, ‘রাজতন্ত্রের’
জন্য নয়।
“আমরা
স্পষ্ট করে বলতে চাই, গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করে যারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়,
তাদের পরিনাম কী হয়, যুগে যুগে দেশে এই ইতিহাস আপনারা অনেকে জানেন।”

কারাগারে
বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের
দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের মৃত্যুর ঘটনার বিচার
দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই
সমাবেশ হয়।
সমাবেশ
ঘিরে সকাল থেকে মৎস্যভবন, তোপখানা রোড মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে পু্লিশ ব্যারিকেড দেওয়ায়
নেতা-কর্মীদের অনেকেই সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি বলে দলটির নেতাদের ভাষ্য।
কয়েকশ
নেতা-কর্মী নিয়ে সকাল ১০টায় সমাবেশের কার্য্ক্রম শুরু হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই
নেতা ঘুষোঘুষিতে লিপ্ত হন। তখন তাদের অনুসারীরাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময়
একজনের মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

এরকম
পরিস্থিতিতে পুলিশ এগিয়ে এলে কর্মীদের মধ্যে দৌড়াদৌ্ড়ি শুরু হয়। পরে বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মাইক নিয়ে কর্মীদের শান্ত করেন।
সংগঠনের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির
ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় এ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মো. শামীম, নেসারউদ্দিন, এটিএম
আবুল কালাম আজাদ, জামাল হোসেন তালুকদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার,
ইয়াসীন আলী বক্তব্য দেন।
বিএনপির
স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে উপস্থিত
ছিলেন।