উদীচী হত্যাকাণ্ডের ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল
যশোর টাউন হল ময়দানে আয়োজিত ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ’ এর বক্তারা অভিযোগ করে
বলেন, শুধুমাত্র রাজনীতিকরণের কারণেই উদীচী ট্রাজেডির মতো একটি চাঞ্চল্যকর
হত্যাকাণ্ডের বিচার ২২ বছর ধরে আটকে আছে।

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর
রহমান মজনুর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনটির এ শাখার সাধারণ
সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব।
এ মামলা নিয়ে বর্তমান সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে সাজ্জাদুর
রহমান খান বিপ্লব বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে সাংস্কৃতিক কর্মীরা আর ঘরে বসে থাকবে
না। তারা বিচারের দাবিতে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
সমাবেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনুর বলেন, আমরা মনে করেছিলাম এ
হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ হবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় বর্তমান সরকারও অতীতের সরকারের
ন্যায় চাঞ্চল্যকর এ মামলা নিয়ে বিন্দুমাত্র আন্তরিক নয়।
“বিচারের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারো দ্বারস্থ হতে হবে।
তিনিই পারবেন এ হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে। কারণ তার নির্দেশে ইতিমধ্যে দেশে অতীতে
ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনার বিচার হয়েছে।
“তাই সবাইকে আবার এ হত্যার বিচারের জন্য সোচ্চার হতে হবে।”

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, যশোর জেলা সংবাদপত্র পরিষদের
সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান
বুলু, সিপিবি নেতা আবুল হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড.
আহসান হাবীব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সম্মিলিত
সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু এবং উদীচী ট্রাজেটির
শিকার সাংস্কৃতিক কর্মী সুকান্ত দাস।
সমাবেশ শেষে টাউন হল ময়দানে উদীচী হত্যাকাণ্ডের স্থানে নির্মিত
স্তম্ভে উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এরপর মশাল প্রজ্বালন করা হয়।