ক্যাটাগরি

নিবন্ধন ৪৯ লাখ, টিকা নিয়েছেন ৩৬ লাখের বেশি মানুষ

গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরুর পর এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪৯ লাখ ২ হাজার ৯৪৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস  শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮২৫ জনের মাঝে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে তাদের কী কী উপসর্গ দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

করোনাভাইরাসের টিকাদানের যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ঢাকা মহানগরে ২৩ হাজার ১৩০ জন টিকা নিয়েছেন। ঢাকার ৪৩টি হাসপাতাল ও কেন্দ্রের টিকা নেওয়ার যে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তাতে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৫৭৫ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে টিকা নিয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৩৮ হাজার ২১৯ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩ হাজার ৫০০ জন, চট্টগ্রামে ১৭ হাজার ১০১ জন, রাজশাহীতে ১০ হাজার ১১৯ জন, রংপুরে ৮ হাজার ৮০৩ জন, খুলনায় ১৫ হাজার ৬৭ জন, বরিশালে ৪ হাজার ১৬৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪০০৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।

শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার ১৫টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করছেন।

ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।

এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে সরকার। এসব টিকার মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই দফায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এসেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা।

যারা ইতোমধ্যে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দুই মাস পর তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।