শনিবার ভোরে ভালুকায় এবং
বিকেলে তারাকান্দায় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তারাকান্দায় নিহতরা
হলেন নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের বিশ্বেশর রায়ের ছেলে চন্দন
রায় (৫৮) এবং আবুল কাশেম (৩২) দুর্গাপুরের বংশীপাড়া গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে।
ভালুকায় নিহতরা হলেন,
চালক কাউসার শেখ (২৫) এবং সহকারী ইমরান হোসেন (২৬)। কাউসার নেত্রকোনার সনুরা
গ্রামের সদর আলীর ছেলে এবং ইমরান একই জেলার যুগাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
তারাকান্দা থানার ওসি
আবুল খায়ের জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কের
তারাকান্দার মোজাহারদি গাছতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশার
মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“নেত্রকোণা থেকে
ময়মনসিংহগামী অটোরিকশাটিকে নেত্রকোণাগামী ট্রাকটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের
মৃত্যু হয়।”

গুরুতর অবস্থায়
ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলেন তিনি।
অপরদিকে ভালুকায়
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকের সাথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায়
চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।
ভালুকা হাইওয়ে থানার
ওসি মশিউর রহমান জানান, শনিবার ভোরে মহাসড়কের কাঁঠালী
পল্লী বিদ্যুতের সামনে ঢাকাগামী একটি চলন্ত ট্রাকের পেছনে একটি পিকআপ ভ্যান
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে পিকআপের চালক ও সহকারী মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করে।
পিকআপের চালক ঘুমিয়ে
পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তিনি।