শনিবার বিকাল ৪টার দিকে
সিরাজগঞ্জ শহরের বড়গোলা আভিসিনা হাসপাতাল এলাকা থেকে ওই নবজাতকসহ শিশুচোরকে হাতে-নাতে
গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন
পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।
এর আগে দুপুরে কামিরখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের
বারাকান্দি গ্রামে তাদের ঘর থেকে শিশুটি চুরি হয়েছিল বলে কামারখন্দ থানার ওসি রাকিবুল
হুদা জানিয়েছিলেন।
উদ্ধার হওয়া ২৩ দিন
বয়সী আলিফ ঊপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাকান্দি গ্রামের দম্পত্তি শহিদুল
মন্ডল ও ফরিদা বেগমের ছেলে।
গ্রেপ্তার রানী বেগম
(৩৫) একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ
সদর থানা চত্বরে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শিশুটি চুরির
পর সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দ থানার পুলিশ অভিযান শুরু করে।
সিরাজগঞ্জে বাড়ি থেকে ২৩ দিনের শিশু চুরি
এলাকাবাসীর মাধ্যমে দুই
নারীর চলাফেরা সন্দেহজনক জানতে পেরে তাদের শনাক্ত করা হয়। এরপর আভিসিনা হাসপাতাল
এলাকা থেকে বিকাল ৪টার দিকে ওই নবজাতকসহ রানীকে হাতে-নাতে আটক করা হয় বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পেরেছেন আটক রানী নিঃসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে চুরি
করেন।
“তবে এটা সত্য নাকি
অন্যকিছু সেটা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
এ ঘটনায় মামলা
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিশু চুরির সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে
বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা মাহিম
নামের ২৯ দিন বয়সী একটি শিশু চুরির ঘটনা ঘটে।
এর ঠিক চারদিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি হাটিকুমরুল গোলচত্বরের শাখাওয়াত
এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সামিউল নামে একদিন বয়সী নবজাতক শিশু চুরি হয়। ওই দিন
রাতেই সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে দুই শিশুর একটিকে জীবিত
অপরটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দুটি ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।