গত বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরে কোহলির নেতৃত্বে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয় ভারত। করোনাভাইরাস বিরতির পর অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টে তারা বাজেভাবে হেরে যায় ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর। এরপর ছুটিতে কোহলি ফেরেন দেশে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে ভারত জিতে ফেরে সিরিজ।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফেরেন কোহলি। কিন্তু চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে তার দল হেরে যায় ২২৭ রানে। এরপর তার টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে ওঠা প্রশ্ন পায় নতুন মাত্রা। তবে পরের তিন টেস্টই বড় ব্যবধানে জেতে ভারত। আহমেদাবাদে শনিবার শেষ হওয়া চতুর্থ টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে জিতে কোহলির দল নিশ্চিত করেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা। একই সঙ্গে ফিরে পেয়েছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান।
সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আকসার প্যাটেল, রিশাভ পান্ত, ওয়াশিংটন সুন্দররা। দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি স্পিনার আকসার তিন ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, চারবার ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। চার টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়ে তার ওপরে অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া দারুণ দুটি ইনিংস খেলেন পান্ত। এর মধ্যে শেষটিতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে করেন সেঞ্চুরি। তার কিপিং নিয়ে নানা সময়ে সমালোচনা হলেও এই সিরিজে ছিল উন্নতির ছাপ। শেষ টেস্টে আটে নেমে অপরাজিত ৯৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার সুন্দর। প্রথম টেস্টেও তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস।
আইপিএলে যখন সতীর্থ কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে কোহলির নেতৃত্বে খেলেন ডি ভিলিয়ার্স। কোহলির নেতৃত্বের কারণেই পান্ত-সুন্দররা স্বাধীনতা নিয়ে দারুণ খেলেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান।
“এই টেস্টে কোহলির নেতৃত্বের কারণে আকসার, রিশাভ ও ওয়াশির (সুন্দর) মতো তরুণরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলেছে এবং ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে। যখন অন্য খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের অবনতি ঘটে, তখন একজন অসাধারণ নেতা শরীরী ভাষা ও আবেগ দিয়ে তাদের উজ্জীবিত করতে পারেন।”