সম্পর্কে থাকা অবস্থায় অনেকেই জড়িয়ে পড়তে পারেন ভিন্ন কোনো সম্পর্কে।
সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সঙ্গীর প্রতারণা মূলক আচরণের কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জানানো হল।
পালটা অভিযোগ: সঙ্গী বরাবরই নিজেকে নির্দোষ বিবেচনা করে এবং আপনি তার মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বরং আপনাকেই অভিযুক্ত করবে।
হঠাৎ মেজাজের ওঠানামা: কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজনে আপনার সঙ্গে যেতে রাজি হলেও সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার মাঝে হতাশা বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। আপনার সঙ্গ তার কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে এবং কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানাতে পারে।
নিজের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল: সঙ্গীর হঠাৎ নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। আগের চেয়ে নিজের পোশক নির্বাচনের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া ও অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণে সচেষ্ট থাকা অনেকটাই প্রতারণার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
যখন তখন জরুরি কাজ: পারিবারিক সময় বা কাজের মাঝে আজকাল প্রায়ই তার জরুরি কোনো কাজ এসে পড়ছে। যে কারণে তাকে এই সময়টা বাইরে থাকতে হয়। সেই সময়টা হয়ত সে জরুরি কোনো কাজ নয় বরং বিশেষ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কাটাতেই ব্যয় করছে।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলা বন্ধ করা: সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা বা ‘ভালোবাসি’ বলা প্রায় নেই বললেই চলে। অথবা আপনার কোনো কাজের প্রশংসা করা বা আগ্রহ দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে, এমনটা দেখা গেলে সঙ্গীর চালচলন ও কাজকর্মের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এগুলোও অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার লক্ষণ।
বন্ধুরদের সন্দেহজনক আচরণ: সঙ্গীর বন্ধুরা হঠাৎ করেই আপনার সহচর্যে অস্বস্তিবোধ করছে অথবা আপনাকে এড়িয়ে চলছে যেন আপনি তাদেরকে কোনো প্রশ্ন করতে না পারেন।
সহবাসে পার্থক্য: সঙ্গীর সহবাসে অনাগ্রহ বা জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্কস্থাপন বা সহবাসের ধরনে পরিবর্তন লক্ষ্য করে থাকলে তার বিশ্বস্ততার প্রতি প্রশ্ন আসতেই পারে। হতে পারে সঙ্গী অন্য কারও প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
করণীয়
সঙ্গীর প্রতারণার কোনো প্রমাণ বা আপনার সন্দেহের কারণগুলো নিয়ে ঝামেলা না করে তার সঙ্গে এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলুন। এতে আপনার অপ্রয়োজীয় সন্দেহ দূর হবে এবং তার প্রতারণার বিষয়টিও আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন
সঙ্গীর মন বিচ্ছিন্ন হওয়ার লক্ষণ
সম্পর্ক যখন মানসিক ক্লান্তির কারণ