রোববার সন্ধ্যায় বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে হাব সদস্যদের আলোচনা
সভায় এ দাবি জানানো হয়।
‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০’ এর খসড়ায় হজ ও ওমরার লাইসেন্সের
মেয়াদ দুই বছর ধরা হয়েছে।
হাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান আইনে নিবন্ধন
বা নবায়ন মেয়াদ তিন বছরমেয়াদি আছে। হজ বা ওমরাহ লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য যে ট্রাভেল
এজেন্সি লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক, সেই লাইসেন্সের মেয়াদও তিন বছর, রিক্রুটিং এজেন্সির
লাইসেন্সের মেয়াদও তিন বছর দেওয়া হয়।
“সেক্ষেত্রে এই লাইসেন্স নিবন্ধন বা নবায়নের মেয়াদ তিন বছর
হওয়া উচিত। এছাড়া পরপর তিন বছর কোনো হজ বা
ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হইলে লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা নেওয়া সঠিক হবে না।”
পরপর পাঁচ বছর ব্যর্থ হলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান
তিনি।
সোবহান ভূঁইয়া বলেন, নতুন আইনের খসড়ায় কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারীকে ৫০ লাখ টাকা আর ওমরাহ এজেন্সির
ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
একটি হজ বা ওমরাহ এজেন্সি ধর্মীয় সেবা প্রদানের জন্য
কাজ করে। যাত্রীর কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা টিকেট ভিসা, মোয়াল্লেম ফিসহ বিভিন্ন খাতে
ব্যয় করা হয়। হাজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।
সীমিত এই লাভ করতে গিয়ে হজ এজেন্সিকে অনেক সেবা দিতে হবে; ঝুঁকিও
অনেক বেশি। কিন্তু একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০
লাখ টাকার জরিমানার বিধান যুক্তিযুক্ত নয়। প্যাকেজ
মূল্যের চেয়ে দশগুণ বেশি জরিমানা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
ব্যক্তি পর্যায়ে অভিযোগের প্রমাণসাপেক্ষে জরিমানা প্যাকেজ মূল্যের
সমপরিমাণ বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেন হাব নেতারা।
নতুন আইনের খসড়া সংশোধনের দাবি জানিয়ে হাব নেতারা বলেন, জামানতের
চেয়ে বেশি জরিমানা কার্যকর করা হলে হজ বা ওমরাহ এজেন্সি এই ব্যবসায় আগ্রহ থাকবে না।
খসড়ায় কোনো হজ বা ওমরাহ এজেন্সির মালিক, অংশীদার, পরিচালক বা উহাতে
কর্মরত অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার কথা বলা হয়েছে।
হাব নেতারা বলেন, একটি অপরাধের জন্য দুইবার বিচার (জরিমানা ও ফৌজদারি
মামলা) কতটা যুক্তিযুক্ত এবং এ কারণে ব্যবসা করার স্বাধীনতা খর্ব হবে।
হাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরেফসহ নেতৃবৃন্দ
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।