ক্যাটাগরি

৭ মার্চের ভাষণ সব জাতির জন্য অনুপ্রেরণার: ঢাবি উপাচার্য

তিনি
বলেছেন, “এই ভাষণ শুধু  ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই
অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এটি যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী
জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। এ কারণেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭
সালে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে।”

রোববার
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ভার্চুয়াল
আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

উপাচার্য
বলেন, “এই বছর ৭ই মার্চের একটি স্বতন্ত্র তাৎপর্য রয়েছে। একই সাথে তিনটি সন্ধিক্ষণে
আমরা এ বছর দিবসটি পালন করছি। এগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী।

“এ
বছর আরেকটি মাইলফলক আমরা অর্জন করেছি। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশে রূপান্তরের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এটি জাতির একটি মহান অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী এই অর্জন তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন। কেননা তরুণ প্রজন্মই ৭ই মার্চের
গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করবে।”

ঐতিহাসিক
৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে যুব
সমাজকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

সভায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায়  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক  মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক  এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ
উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক  মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন,
তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের
নেতারা বক্তব্য দেন।

দিবসটি
উপলক্ষে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।