রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ লেজেন্ডসের
বিপক্ষে ইংল্যান্ড লেজেন্ডসের জয় ৭ উইকেটে।
ভারতের রায়পুরে রোববার বাংলাদেশের সাবেকরা ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে
তুলতে পারে মাত্র ১১৩ রান। কেভিন পিটারসেন ও ফিল মাস্টার্ডের ঝড়ো সূচনার পর ইংলিশরা
জিতে যায় ৩৬ বল বাকি রেখে।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ঝড় তুলেছিলেন নাজিমউদ্দিন। এই ম্যাচেও প্রথম
ওভারে মন্টি পানেসারকে দুটি বাউন্ডারি মেরে ইঙ্গিত দেন তেমন কিছুর। কিন্তু এবার পারেননি।
১২ করে বোল্ড হয়ে যান রায়ান সাইডবটমের বলে।
আরেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম নিজের মতোই খেলে ১২ বলে করেন ৫ রান। তিনে নেমে
নাফিস ইকবাল ১০ বলে ৮। হান্নান সরকার শুরুটা ভালো করলেও বিদায় নেন ৯ বলে ১৩ করে। রাজিন
সালেহর ৫ রান আসে ৯ বলে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৫৫।

বাংলাদেশের স্কোর একশ পার হওয়ায় অবদান ছিল মুশফিকুর রহমান বাবুর। ছবি : টুইটার।
একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বহু বিপর্যয়ে যেমন দলের মান বাঁচানোর লড়াই করতেন
খালেদ মাসুদ, সেভাবেই আবার লড়াই চালিয়ে যান এই কিপার-ব্যাটসম্যান। মুশফিকুর রহমান বাবুর
ব্যাটে রান আসে একটু দ্রুত। দুজনের সৌজন্যে একশ পার করতে পারে দল।
৩৯ বলে ৩১ করেন মাসুদ, ২৬ বলে অপরাজিত ৩০ মুশফিক।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের তুলাধুনা করতে থাকেন ফিল মাস্টার্ড।
প্রথম ওভারে মোহাম্মদ শরীফকে দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি, পরের ওভারে আলমগীর কবিরকে
চার-ছক্কা। পরে আক্রমণে সঙ্গী হন পিটারসেনও।
১৬ বলে ২৭ রান করে শরীফের বলে আউট হন মাস্টার্ড। পিটারসেন তার তাণ্ডব চালিয়ে
যান আরও কিছুক্ষণ। মোহাম্মদ রফিককে ছক্কা মারার পরের বলে বোল্ড হয়ে থামে পিটারসেনের
১৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশ অধিনায়ক রফিক পরে আউট করেন ক্রিস স্কোফিল্ডকেও। বেশ নিয়ন্ত্রিত
বোলিং করেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে লড়াইয়ের পুঁজিই ছিল না বোলারদের।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ বুধবার শ্রীলঙ্কার সাবেকদের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ লেজেন্ডস: ২০ ওভারে ১১৩/৫
(নাজিমউদ্দিন ১২, জাভেদ ওমর ৫, নাফিস ইকবাল ৮, হান্নান সরকার ১৩, রাজিন সালেহ ৫, খালেদ
মাসুদ আহত অবসর ৩১*, মুশফিকুর রহমান ৩০*, মোহাম্মদ রফিক ২*; মনি পানেসার ৪-০-১৫-১,
হগার্ড ১-০-৪-০, রায়ান সাইডবটম ৩-০-২৪-১, ক্রিস ট্রেমলেট ২-০-১০-২, ক্রিস স্কোফিল্ড
৪-০-২১-১, জেমস ট্রেডওয়েল ৪-০-১৮-০, কবির আলি ২-০-১৬-০)।
ইংল্যান্ড লেজেন্ডস
:
১৪ ওভারে ১১৭/৩ ( ফিল মাস্টার্ড ২৭, কেভিন পিটারসেন ৪২, ড্যারেন ম্যাডি ৩২*, ক্রিস
স্কোফিল্ড ৫, গ্যাভিন হ্যামিল্টন ৫*; শরীফ ২-০-২৭-০, আলমগীর কবির ২-০-২৬-১, আব্দুর
রাজ্জাক ৪-০-১৯-০, মোহাম্মদ রফিক ৪-০-৩১-২, রাজিন ১-০-৫-০, মুশফিক ১-০-৮-০)।
ফল : ইংল্যান্ড লেজেন্ডস
৭ উইকেটে জয়ী।