সোমবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের
সমন্বয়ে গঠিত ‘কোর কমিটি’র তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির পরীক্ষার জন্য
প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ ১ এপ্রিল শুরু হবে এবং ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন
করতে পারবেন।
‘কোর কমিটি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, যেসব
শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তারা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাথমিক আবেদনে
শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা উত্তীর্ণ হবেন, সেই সব
শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল হতে ২০
মে এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
২০১৯
ও ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এ পদ্ধতিতে আবেদন করতে
পারবে।
এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএ
৮, বাণিজ্যের সাড়ে ৭ এবং মানবিকের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৭ থাকতে হবে।
তবে
ভর্তিচ্ছুদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ ন্যূনতম সাড়ে ৩ করে থাকতে হবে।
যেসব
শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তারা এ বছর পরীক্ষা দেওয়ার
সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এ সুযোগ থাকবে না।
প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল জানানো হবে।
সব পরীক্ষা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে বেলা
১২টায় শুরু হবে এবং একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন করতে
পারবেন।
২০১৯ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘কেন্দ্র’ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে পছন্দকৃত
নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
আবেদনকারীরা ১ জুন হতে ১০ জুন তারিখের মধ্যে প্রবেশপত্র
ডাউনলোড করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।