সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয়ে ভর্তি
পরীক্ষার আবেদনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান৷
তিনি বলেন, “ঢাকা বিভাগের বাইরের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের
দুর্ভোগ লাঘবের উদ্দেশ্যে ভর্তি পরীক্ষা এবার ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
যেহেতু ঢাকার বাইরেও কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, তাই খরচও হবে বেশি। তাই আবেদন ফি কিছুটা
বেড়েছে।”
গত বছর আবেদন ফি ছিল ৪৫০ টাকা, এবার তা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করা হয়েছে৷
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও জনতা বা রূপালী ব্যাংকের যে কোনো
শাখার পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল পেমেন্ট সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি), ডেবিট
ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে অনলাইনেই টাকা জমা দেওয়া যাবে। ১ এপ্রিল রাত ১২টা
পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া যাবে।
নির্দিষ্ট শর্তপূরণ করে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবে।
১ মে বিকেল ৩টা থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
মহামারীর কারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও আট বিভাগীয় শহরের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন্দ্র করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় পছন্দ অনুযায়ী আট বিভাগীয় শহরের যে কোনো
একটিকে তার ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
এবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল গড় করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের
মূল্যায়নে সবাই পাস করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আবেদনের যোগ্যতার শর্ত
কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায়
প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫), ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের
যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০), ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০
( আলাদাভাবে ৩.৫), ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম
৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে
৩.৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.০ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০) নির্ধারণ
করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ইউনিটের ক্ষেত্রেই জিপিএ গণনা করা হবে চতুর্থ
বিষয়সহ।
মানবণ্টন
এবার ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের
বহুনির্বাচনী ৪৫ মিনিটে এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে ৪৫ মিনিটে। চ ইউনিটের
ক্ষেত্রে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরিক্ষা ৩০ মিনিটে এবং বহুনির্বাচনি পরিক্ষার ফলাফলের
ভিত্তিতে পরবর্তীতে মেধাক্রম অনুযায়ী ১৫০০ জন ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা ৬০ মিনিটে দিতে
হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে উচ্চমাধ্যমিকের
প্রাপ্ত জিপিএ-র উপর ১০ ও মাধ্যমিকের প্রাপ্ত জিপিএ-র উপর ১০, মােট ২০ নম্বর যােগ করে
মেধা-তালিকা তৈরি করা হবে।
বেড়েছে আসন সংখ্যা
এবছর থেকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ‘আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগে’ ১৫ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা
হবে। পাঁচটি ইউনিটের অধীনে এবার মোট আসনসংখ্যা আগের ৭১১৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১৩৩ হবে৷
এবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ১৮০৫, কলা অনুষদভুক্ত
‘খ’ ইউনিটে ২৩৭৮, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ১২৫০, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত
‘ঘ’ ইউনিটে ১৫৬০ এবং চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫টি আসন রয়েছে ৷
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ২২ মে কলা অনুষদভুক্ত
‘খ’ ইউনিট, ২৭ মে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট, ২৮ মে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত
বিভাগ পরিবর্তনের সমন্বিত ‘ঘ’ ইউনিট এবং ৫ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি
পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি পরীক্ষা সকাল ১১ থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত
হবে।