এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের
মধ্যে তা তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, ও বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাই
কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুননি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। তার সঙ্গে ছিলেন
আইনজীবী আইমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
মাহফুজুর
রহমান মিলন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের
১৪ ধারা অনুযায়ী কোনো গণমাধ্যমই যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি,
নাম, পরিচয় এবং কোনো ধরনের ঠিকানা প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু হরহামেশাই দেখা
যাচ্ছে তা করা হচ্ছে। সে কারণে পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু খবর ও প্রতিবেদন যুক্ত করে
রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
“আদালত
ভিকটিমের ছবি, নাম, পরিচয় ও কোনো প্রকার ঠিকানা প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
দিয়েছেন। সেই সাথে রুল জারি করেছেন।”
গণমাধ্যম বা সংবাদ মাধ্যমে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর
ছবি, নাম, পরিচয়, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ অন্যান্য পরিচয়
প্রচার-প্রকাশ না করা সংক্রান্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৪ ধারা
যথাযথভাবে প্রয়োগে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন ‘বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা
করা হবে না’ জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
তথ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ প্রেস
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সচিব, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা
হয়েছে।
আগামী ৩ মে এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছে আদালত।