রোববার ওই প্রতিবেদন
পেয়েছেন বলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান।
দুই সদস্যের এই তদন্ত
কমিটির সদস্যরা ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী
ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
জেলা প্রশাসক তরিকুল
ইসলাম জানান, নির্ধারিত দুই কর্মদিবস গত সোমবার শেষ হলেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল।
“দ্বিতীয় দফার নির্ধারিত
সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে রোববার তারা ওই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা যতটুকু
জেনেছি ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মুশতাক।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়; রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।”
এই তদন্ত প্রতিবেদনের
সারসংক্ষেপ ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অনুরূপ’ বলে জেলা
প্রশাসক জানান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি
রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের।
তবে কীভাবে তার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায়
সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে।
পরদিন সুরতহাল ও
ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাজীপুর সদর
থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সমালোচনার মুখে
গাজীপুর জেলা প্রশাসন দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় গঠন করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এর আগে বুধবার দুই
কমিটির প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পান বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি
কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই
কারাগারের ভেতরে মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয় তাকে। সেখানে রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের
রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
নেওয়া হয় মুশতাককে; পরে ২৪ অগাস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে
ছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত
ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।