কুয়োর মতে, অ্যাপলের ওই লেন্স ইলেকট্রনিক্স জগতের ‘দৃশ্যমান কম্পিউটিং’ যুগকে ‘অদৃশ্য কম্পিউটিং’ যুগে নিয়ে আসবে। তিনি বলছেন, লেন্সে “স্বাধীন কম্পিউটিং ক্ষমতা ও স্টোরেজ না-ও থাকতে পারে।” পণ্যটি যে আইফোন বা অন্য ডিভাইসের উপর নির্ভর করতে পারে, সেদিকেই যেন ইঙ্গিত দিলেন কুয়ো।
এ ব্যাপারে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি কুয়ো। শুধু জানিয়েছেন, এখনও পণ্যটির কোনো “দৃশ্যমান” নমুনা নেই। অ্যাপল পণ্য বিষয়ক সংবাদদাতা সাইট ম্যাক রিউমার্স এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছে, গোটাটা শুনে অনেকটা যুগান্তকারী অনুমান মনে হচ্ছে, কিন্তু পণ্যের নিশ্চয়তা মিলছে না।
অ্যাপলের কনট্যাক্ট লেন্স কোনো চশমা বা হেডসেট পরা ছাড়াই হালকা ধাঁচের অগমেন্টেড রিয়ালিটি অভিজ্ঞতা উপহার দিতে পারে। আরও সহজ করে বললে, বাস্তব বিশ্বের ডিজিটাল তথ্যকে ছাপিয়ে যাবে অগমেন্টেড রিয়ালিটি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শপিং প্লাজায় ঢুকেই হয়তো কোনো ব্যক্তি বুঝতে পারবেন কোন কোন দোকানে কী কী পণ্য রয়েছে, এর জন্য আলাদা করে আর কোনো দোকানে ঢোকার প্রয়োজন পড়বে না।
কুয়ো জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেট আনার পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৫ সাল নাগাদ অগমেন্টেড রিয়ালিটি চশমা আনারও।