প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার অ্যানফিল্ডে পয়েন্ট তালিকার অবনমন অঞ্চলের দল ফুলহ্যামের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল।
গত মৌসুমে ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে লিগ শিরোপা জেতা দলটি পথ হারানোর আগে লিগে ঘরের মাঠে অপরাজিত ছিল টানা ৬৮ ম্যাচ।
দুর্দান্ত সেই পথচলায় চারিদিকে ছিল ক্লপের জয়গান। ঠিক তার উল্টো অভিজ্ঞতা হচ্ছে এবার; সবশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হার, ২৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান তালিকার আটে। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়াই এখন ক্লপের আসল চ্যালেঞ্জ।
ফুলহ্যাম ম্যাচের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্যারিয়ারে এটি তার কঠিনতম সময়গুলোর একটি কিনা। বিনা দ্বিধায় ক্লপ বলেন, “ভালো হতো ‘না’ বলতে পারলে, কিন্তু ‘হ্যাঁ’।”
“এই দলটা অসাধারণ। আমাদের দারুণ সব অর্জন আছে, কিন্তু বর্তমানে আমরা কঠিন সময়ে আছি। তবে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”
প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে টানা ছয় ম্যাচ হেরেছে লিভারপুল।
কোচিং ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সাফল্যের পর এমন অবিশ্বাস্য ছন্দপতন ক্লপের জন্য অবশ্য নতুন নয়। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ মৌসুমে টানা বুন্ডেসলিগা জিতেছিলেন তিনি। পরের মৌসুমেই তার দল লিগ শেষ করে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে ২৫ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে।
২০১৪-১৫ মৌসুম শেষে ক্লাবটির দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। সেবার পয়েন্ট তালিকার সাতে থেকে লিগ শেষ করে ডর্টমুন্ড।
২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলের দায়িত্ব নেন ক্লপ।
২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হারের পরের আসরেই টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরে ক্লপের দল।
আর ২০১৯-২০ মৌসুমে তার হাত ধরে ৩০ বছরের লিগ শিরোপার খরা কাটায় লিভারপুল। সেবার ৩১ ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল দলটি; ইংল্যান্ডের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় যা সর্বোচ্চ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয়ের রেকর্ড।
আরও কিছু রেকর্ড গড়েছিল তারা; স্পর্শ করেছিল এক আসরে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৫৫ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড, ১৯ ম্যাচে ১৮ জয়, অন্যটি ড্র।
সেই দলই এবার ঘরের মাঠে হারল টানা ছয় ম্যাচ। এর আগে এক মৌসুমে ঘরের মাঠে মোট ছয় ম্যাচ তারা হেরেছিল সেই ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে। সেবার তারা আসর শেষ করেছিল তলানিতে থেকে। ক্লপের ধারণা একবার মোমেন্টাম পেয়ে গেলে পাল্টে যাবে চিত্র।
“এ মৌসুমে কখনোই আমরা মোমেন্টাম পাইনি…খেলোয়াড়দের সেই সামর্থ্য ঠিকই আছে, কিন্তু এখন বিশেষ এই দিকটা চোখে পড়ছে না।”