ক্যাটাগরি

‘গোল্ডেন’ মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগ গঠন ১৬ মার্চ

সোমবার আসামির উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে জমা দেওয়া দুই মামলার
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার ১ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ
এ আদেশ দেন।

আদালতে গোল্ডেন মনিরের পক্ষে আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জামিনের
আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধিতা
করেন।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুরের আদেশসহ অভিযোগ গঠনের
দিন ঘোষণা করেন।

অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা
পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুটি
অভিযোগপত্র জমা দেন। দুটিতেই ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত বছরের ২১ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার
করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ,
একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার
কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও
পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ
রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ
ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া
হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ল।

মনির অবৈধভাবে এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন
করে সেগুলো তার মা ও স্ত্রীর নামে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে ২০১২ সালে একটি মামলা করেছিল
দুদক।

দীর্ঘদিন সেই মামলার তদন্ত ঝুলে থাকার পর মনির গ্রেপ্তার হলে
গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে ২০০৯ সালের
আগ পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার
বিরুদ্ধে।

অবৈধ কারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুদক।