সদর উপজেলার শাহতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার হেলাল উদ্দিন নামে এক চাষি ফ্রুটস ভ্যালি নামে খামার গড়ে তুলেছেন। সেখানে আঙুরের মত থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে চেরি টমেটো।
হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্রুটস ভ্যালিতে হলুদ ও লাল রংয়ের ম্যাগলিয়া রোসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এটি শীতপ্রধান দেশের ফসল হলেও এ দেশের আবহাওয়ায় ভাল ফলন হয়েছে। এতটা ভাল হবে আগে তা ভাবতেও পারিনি।
“এটি অতি উচ্চফলনশীল সবজি। দীর্ঘ সময় এর ফলন পাওয়া যায়। গাছে সহজে পচন ধরে না। বাজারে ব্যাপক চাহিদার কারণে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।”
হেলাল বলেন, তিনি তাদের পরিত্যক্ত ইটভাটায় এই খামার গড়ে তুলেছেন।
“উচ্চ ফলনশীল চেরি টমেটোর পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে। বর্তমানে ঢাকার সুপারশপগুলোতে আমদানি করা চেরি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি দরে।”
এ বিষয়ে মৈশাদী ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইতালি থেকে চেরি টমেটোর বীজ আনা হয়েছে। বেলে মাটিতে শীতকালে চেরি টমেটোর চাষ করা হলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।
হেলাল উদ্দিনের চাষের বিষয়ে তিনি বলেন, “পরীক্ষামূলক চেরি টমেটোর চাষ করে হেলাল সফল হয়েছেন। গত দুই মাসে তিনি ফসল তুলেছেন। আরও দুই মাস তুলতে পারবেন। একটি গাছ থেকে সাত থেকে আট কেজি ফসল পাওয়া সম্ভব। বিদেশ থেকে আমদানি করা এই সবজি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। হেলাল উদ্দিন বিক্রি করছেন ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
“দেশে চেরি টমেটোর বেশ চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলে আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, চেরি টমেটো’ চাষাবাদে তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। হেলালের খামার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি মনে করেন।