ক্যাটাগরি

বড় পুকুরিয়া খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কয়লা উত্তোলন ব্যাহত

সোমবার
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

পুলিশি
বাধায় খনি এলাকায় সভা সমাবেশ করতে না পারায় ফুলবাড়ীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খনির প্রবেশপথ
খোলাসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরেন শ্রমিক নেতারা।

এর আগে
প্রায় ৭ মাস ধরে খনি অভ্যন্তরে থাকা ৬০৪ জন শ্রমিক গত রোববার রাতে খনি থেকে ফটকের বাইরে
বেরিয়ে আসেন।

সংবাদ
সম্মেলনে বড় পুকুরিয়া কয়লা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম জানান,
খনির প্রধান গেইট খুলে দেওয়াসহ সব শ্রমিককে কাজে যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে
তারা কাজে যোগদান করবেন না।

খনি
অভ্যন্তরে থাকা ৬০৪ জন শ্রমিক রবিবার রাতে খনি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসায় সংশ্লিষ্ট
শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মামলা করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।

রাতেই
পুলিশ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বাড়ি-বাড়ি অভিযান চালিয়ে রবিউল, ডালিম, জীবন, ইব্রাহিম
এবং জাহিদ নামের পাঁচ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে,
পার্বতীপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায়
খনির ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) হাসান ইমাম বাদী হয়ে করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পাঁচ
শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সংবাদ
সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা জানান, খনির অভ্যন্তরে নিয়ে তাদের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে
বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা সেখানেই থেকে যেতে বাধ্য হয়।

ওই
সময়ের মধ্যে খনির বাইরে বের হওয়াতো দূরের কথা পরিবার পরিজনের সাথে দেখাও করতে
দেওয়া হয়নি বলে জানান তারা।


অবস্থায় খনির প্রধান গেইটের সামনে ফটকটি উন্মুক্ত করার দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর
থেকে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে রোববার রাত সোয়া ৮টায় খনির
প্রধান ফটকের পকেট গেট খুলে বের হয়ে আসে ওই শ্রমিকরা।

কয়লা
শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“মহামারীর লকডাউনে গত বছরের ২৬ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উৎপাদন।
এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে শ্রমিকদের ভেতরে নেওয়া হয় শুরু
হয়। ৬০৪ জন শ্রমিককে ভেতরে নিয়ে খনির কয়লা তোলা শুরু হয়।”

এদিকে
উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে খনি গেইট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে
বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখলেও কয়লা উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে চীনা শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে
কয়লা খনির ব্যবস্থপক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার
যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।