এই চোটের জন্যই আহমেদাবাদে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট খেলতে
পারেননি আর্চার। ২০২০ সালের শুরুতে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের আগে
প্রথম কনুইয়ে চোট পান তিনি। পরে যা স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হিসেবে চিহ্নিত হয়, যে কারণে তিনি শ্রীলঙ্কা সফর ও আইপিএল থেকে ছিটকে যান। দুটি টুর্নামেন্টই
অবশ্য পরে নতুন সূচিতে মাঠে গড়ায়।
বর্তমান অবস্থায় আর্চারের অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন
ইংল্যান্ড কোচ ক্রিস সিলভারউড। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য তারা চিকিৎসক দলের সঙ্গে
আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি
সিরিজে আর্চারের খেলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করতে
চান তারা।
“জফ্রার কনুইয়ের চোট কিছুটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। চিকিৎসক দল বিষয়টা
সামলাতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। সে আজ সাদা বলের
স্কোয়াডের সঙ্গে অনুশীলন করেছে।”
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারেননি আর্চার। সেই ম্যাচে
তার না খেলা চোটের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে তখন জানিয়েছিল ইংল্যান্ডের টিম
ম্যানেজমেন্ট। তবে চোট পাওয়ার সময়টা বেশ উদ্বেগের। তৃতীয় টেস্টে তিনি বল করেন
মাত্র পাঁচ ওভার, পুরো সিরিজে ৩৫.৫ ওভার। সিলভারউডের ভাবনা,
সব রকম চেষ্টা করে আর্চারের টেস্ট ক্যারিয়ার লম্বা করা।
“আমি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলব। সব ধরনের ক্রিকেটে জফ্রাকে আমি
ফিট দেখতে চাই। তার লম্বা ও সফল টেস্ট ক্যারিয়ার চাই।”
আগামী শুক্রবার আহমেদাবাদে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচ
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।