স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল
ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার একদিনে টিকা নিয়েছেন
১ লাখ ৭ হাজার ৪৬৩ জন। আর এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৩ জন। টিকা নেওয়ার
জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৫ জন নাগরিক।
এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন
তাদের মধ্যে ৮৬৬ জনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে
কী ধরনের উপসর্গ তাদের দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের
একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত
টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে
স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায়
৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
করোনাভাইরাসের টিকাদানের
যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া
হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
সোমবার ঢাকা মহানগরে ৪৭টি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে মোট ২১ হাজার ৬৫ জন টিকা নিয়েছেন। সবচেয়ে
বেশি ১ হাজার ৭৩৭ জন টিকা নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে
বেশি ৩৫ হাজার ৭৫৯ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৫ হাজার ২৫৮ জন, চট্টগ্রামে
১৮ হাজার ৬৯৯ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ৭৫৬ জন,রংপুরে ১১ হাজার ৬৪ জন, খুলনায় ১৬ হাজার
৮৪০ জন, বরিশালে ৪ হাজার ৫৩১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৫৭৪ জন করোনাভাইরাসের টিকা
নিয়েছেন।
ঢাকাসহ সারা দেশে ১ হাজার
১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্র ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা
থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি
স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকা প্রয়োগ করছেন।