মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ সময় আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিবুল বাশার লাল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কলাবাগানের সাততলা ভবনের ছাদে ওঠেন তাজরিন মোস্তফা মৌমিতা (১৯) নামে ওই তরুণী। পরে বাসার পেছন থেকে সন্ধ্যার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই আমির হামজা আদনান নামে প্রতিবেশী এক তরুণকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুদিনের হেফাজতে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমির হামজা আদনানের সাথে মৌমিতার যোগাযোগ ছিল। ঘটনার সাত দিন আগে ফেইসবুক ও ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মৌমিতা।
“মৌমিতার বাবার করা নিয়মিত মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করে। ঘটনার দিন আদনান ছাদে ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
তবে এঘটনায় নিহতের বাবা যে মামলা করেছিলেন, তাতে আমির হামজা আদনানের কোনো উল্লেখ ছিল না।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ফাইজার দীর্ঘদিন ধরে মৌমিতাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ফাইজার বাসার ছাদে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। মাঝে মধ্যে বিকেলে ছাদে উঠলে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। মৌমিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতে ফাইজার ও তার বন্ধুরা জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
ঠাকুর দাস মালো বলেন, এরই মধ্যে বাড়িওয়ালার ছেলে ফাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।