মঙ্গলবার নিজের সরকারি
বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক
ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাদের কর্মের স্বীকৃতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি নেতারা নারী দিবসের
কর্মসূচিতে বলছেন, এদেশের নারীরা নাকি অধিকার বঞ্চিত।
“নারীদের সম্মান এবং
মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ
দেশে-বিদেশে প্রশংসিত,যা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি বয়ে আনছে। কর্মক্ষেত্রে
নারীদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ
করে দিয়েছে সরকার। সরাসরি ভোটে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী প্রতিনিধি নির্বাচন
হচ্ছে, জাতীয় সংসদে বাড়ানো হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসন।”
কাদের বলেন, “সন্তানের
পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ
হাসিনা নারীদের দিয়েছেন অনন্য স্বীকৃতি। আর যে অপশক্তি ধর্মের নামে নারীর এগিয়ে যাওয়ার
পথকে রুদ্ধ করে রাখতে চায়, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষক ।”
নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে
জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জিং পেশায় বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ।“
বিএনপির শাসনামলে ফাহিমা,
পূর্ণিমার মত হাজারো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
বলেন, “সংখ্যালঘু নারীদের উপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল তা একাত্তরে পাক হানাদারদের বর্বরতাকেও
হার মানিয়েছিল।
“শেখ হাসিনা সরকার
একদিকে নারীর প্রতি লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর, অপরদিকে নারী উন্নয়নের সকল
সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতেও সচেষ্ট। এদেশের নারীরা বন্দী নয় বরং শেখ হাসিনা
তাদের দেখিয়েছেন সম্ভাবনার মুক্ত আকাশ। “
কেরানীগঞ্জে বাস থেকে
একজন বাক-প্রতিবন্ধী নারীকে ফেলে দেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত
এবং দুঃখজনক। ইতিমধ্যেই বিআরটিএকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”