শেফিল্ড শিল্ডের চলতি
রাউন্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গ্যাবায় কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫১ রানের ইনিংস
খেলেছেন গ্রিন। ৩৪৩ বলের ইনিংসে ২৯ চারের পাশে ছক্কা ছিল ৫টি।
এই ম্যাচ শুরুর ৩ দিন
আগে ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট মার্শ কাপে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থে
খেলেন ১০১ বলে ১৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, তার প্রথম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি। এর আগে একই
প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ১৬৮ রানে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট
সিরিজে নিজের প্রতিভার ঝলক কিছুটা দেখানোর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে এভাবেই রানের বন্যা বইয়ে
দিচ্ছেন গ্রিন। এই সাফল্যের কারণ অনুসন্ধানেই জানা গেল কৌতূহল জাগানিয়া তথ্য।
বয়স মোটে ২১ হলেও গ্রিন
যে দ্রুত পরিণত হয়ে উঠছেন, সেটির প্রমাণও মিলল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে এই
অলরাউন্ডার বললেন, শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেওয়ার গুরুত্ব তিনি অনুধাবন করতে পেরেছেন।
“ সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
যে ব্যাপারটি আমি শিখেছি, (তা হলো) মানসিক দিকটি ঠিক রাখার চেষ্টা করা। অনেক বড় মৌসুম
এবার এবং জুনিয়র-সিনিয়র ক্যারিয়ারে হাজার হাজার বল আমরা নেটে খেলেছি। কাজেই এখন সবসময়ই
নেটে অনেক সময় কাটানো জরুরি নয়। মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা প্রয়োজন।”
“ আমার জন্য এবার ব্যাপারটি
ছিল, একদমই বল হিট না করা ও ম্যাচের জন্য নিজেকে তরতাজা করে তোলা। কখনও কখনও এরকম হয়,
নিজের মানসিক শান্তির জন্য অনেক বল খেলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ব্যাপারটি হলো, ম্যাচে
নামার আগে কোনো কিছুরই খুব বেশি মূল্য নেই।”
এখানে তার ভাবনা স্টিভেন
স্মিথ, মার্নাস লাবুশেনদের পুরো উল্টো। স্মিথরা অনুশীলনে বাট ছাড়তেই চান না। গ্রিন
জানালেন, তিনি নিজের মতো করেই এগোবেন।
“ তাদের দুজনের ভাবনা
ভিন্ন। তারা স্রেফ পাগল-খেলাটিকে তারা যতটা ভালোবাসে, ততটা ভালোবাসতে আর কাউকে দেখিনি।
তারা হয়তো খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এতটা অনুশীলন করে। আমি চেষ্টা করি নিরুদ্বেগ
থাকতে ও নিজেকে চনমনে রাখতে।”
শেফিল্ড শিল্ডে এবার
শুরু থেকেই চলছে গ্রিনের রাজত্ব। এই আসরে দারুণ পারফর্ম করেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট
সিরিজের দলে জায়গা করে নেন তিনি। খেলেন বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ৪টি টেস্টেই। খুব
দারুণ কিছু করতে না পারলেও খারাপ করেননি। সিডনি টেস্টে খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। আরও ৩
ইনিংসে জাগান ফিফটির সম্ভাবনা।
টেস্ট সিরিজ শেষে শেফিল্ড
শিল্ডে ফিরে যথারীতি আবার চোধাঁধানো ফর্মেও ফিরে গেছেন। সোমবার পর্যন্ত টুর্নামেন্টের
৬ ম্যাচে ১১১.৭১ গড়ে তার রান ৭৮২, সেঞ্চুরি ৩টি ও ফিফটি ২টি।
তিন সেঞ্চুরির প্রতিটিতেই
ছাড়িয়েছেন দেড়শ। সেই ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ডেভিড হুকসের পর এই প্রথম কোনো ২১ বছর বয়সী ক্রিকেটার
এক মৌসুমে দেড়শ ছুঁতে পারলেন তিন বার।
এই মৌসুমে খেলেছেন তিনি
১ হাজার ৪৪৪ বল, তার ধারেকাছে নেই আর কেউ।