সোমবারের এ রায়ে লাতিনের দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয় বামপন্থি রাজনীতিক লুলার আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার সুযোগ তৈরি হল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রায়ে বিচারক এডসন ফাচিন বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে লুলার বিচারের এখতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কুরিতিবার আদালতের নেই। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের বিচার রাজধানী ব্রাসিলিয়ার কেন্দ্রীয় আদালতে হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের পর্যালোচনায় ফাচিনের রায় উল্টে যাবে বলেই তার ধারণা।
ব্রাজিলিয়ানরা লুলাকে আগামী বছরের নির্বাচনে দেখতে চায়- এমনটা বিশ্বাস করেন না বলেও জানান কট্টর ডানপন্থি এ রাজনীতিক।
ব্রাজিলের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা লুলাকে নিয়ে সোমবার দেওয়া ফাচিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
লুলার নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হলে ব্রাজিলের এখনকার সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে এসে আরও বেশি জনতুষ্টিবাদী কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হবে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন।
৭৫ বছর বয়সী লুলা ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত লাতিনের সবচেয়ে বড় দেশ ও সবচেয়ে বড় অর্থনীতি চালিয়েছেন। তার আমলে দেশটির প্রবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল।
সরকারি চুক্তির বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত এ বামপন্থি নেতাকে বছর দেড়েক কারাগারেও থাকতে হয়েছে। পরে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত সব ধরনের আপিল শেষ হওয়ার আগে কাউকে কারাগারে পাঠানোর বিপক্ষে অবস্থান নিলে লুলা ও হাজারো কারাবন্দির মুক্তির পথ সুগম হয়।
রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লুলা ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন লুলার আইনজীবীরা। ৮ বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা লুলা যে নির্দোষ, এ রায়ে তারই স্বীকৃতি মিলেছে বলে মন্তব্যও করেছে তারা।