ইন্ডিয়ান ওশেন টুনা কমিশনের (আইওটিসি) আহ্বানে মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে পাঁচ দিনের বৈঠকটি শুরু হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী অস্ট্রেলিয়া থেকে কেনিয়া পর্যন্ত দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মৎসশিকারী দেশগুলো আইওটিসির সদস্য। বৈঠকে এসব দেশ হলুদ পাখনার টুনা ধরার কোটা নিয়ে আলোচনা করবে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, উষ্ণ পানির এই প্রজাতিটি অতিরিক্ত শিকারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
এই মাছ নিয়ে কর্পোরেট পর্যায়েও উদ্বেগ আছে। ব্রিটিশ সুপারমার্কেট টেসকো ও কো-অপ এবং বেলজিয়ান খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কোলরাইত গত বছর জাতিসংঘের অনুমোদনপ্রাপ্ত কমিশন ‘মজুত পুনর্গঠনের কোনো পরিকল্পনা না নেওয়া পর্যন্ত’ ভারত মহাসাগরের হলুদ পাখনার টুনা কেনা বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার প্রায় এক দশক ধরে মাছটিকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় রেখেছে।
তারপরও বিশ্বজুড়ে মাছটি ধরার পরিমাণ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে বার্ষিক চার লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে বলে সামুদ্রিক মৎস সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে।
এ মাছ ধরার পরিমাণ কমানো না হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হলুদ পাখনা টুনার মজুতে ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
ফ্রান্স ও স্পেনের মাছ ধরার জাহাজগুলোই বেশিরভাগ টুনা ধরে নিয়ে যায়। তাদের ব্যবহৃত বিশাল জালগুলোতে বড় মাছের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক মাছগুলো ধরা পড়ায় টুনার পুনরুৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলো ইউরোপের মাছ ধরা জাহাজগুলোর আনাগোনা সীমিত করতে চায়। টুনা ও অন্যান্য প্রজাতির মাছকে জালের দিকে আকর্ষণ করে নিয়ে আসা ভাসমান বস্তুগুলোর ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে চায় কেনিয়া ও শ্রীলঙ্কা।
মালদ্বীপ চায় হলুদ পাখনা টুনা মাছ ধরার পরিমাণ ২০১৫ সালের পর্যায় থেকে আরও ১৫ শতাংশ হ্রাস করতে। ২০১৫ সালেই প্রথম আইওটিসির বিজ্ঞানীরা হলুদ পাখনা টুনা মাছ অত্যধিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে বলে একমত হয়েছিলেন।