প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল
বৈঠকে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’ এর খসড়ায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
বলেন, বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আইসিটি
ভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য হয়ে গেছে।
“ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও লেনদেন হচ্ছে।
এজন্য পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট আইন প্রণয়ন করা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোর ‘পরিশোধ ব্যবস্থা’ পরিচালনা
বা ইলেক্ট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে
হবে।
“বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে কার্যরত সকল পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, অংশগ্রহণকারী
ও সেবাদানকারীর কার্যক্রম পরিচালনায় অনুমতি প্রদান ও তদারকি করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজে বা প্রয়োজনে তার অনুমোদিত কোনো কর্তৃপক্ষ
দিয়ে আন্তঃব্যাংক ইলেক্ট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থাগুলো যেভাবেই অবিহিত থাকুক না কেন, পরিচালনা
করতে পারবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতদিন পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আলাদা কোনো আইন ছিল
না। ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে টাকা পয়সা বা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আইন না থাকায় এবং পরিশোধ
ব্যবস্থায় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক লেনদেন চালু থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার রুলস পরিচালনার
জন্য চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতে হত।
“সেজন্য কন্ট্রাক্ট ল থেকে বের করে নিয়ে এসে পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট
আইন করা হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেম এ কন্ট্রাক্ট অ্যাক্ট দিয়ে পরিচালনা কাভার করা যাচ্ছে
না, সেজন্য এ আইন করা হয়েছে।”
নতুন আইন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে
ইলেক্ট্রনিক লেনদেন বিস্তারের ফলে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকের
পাশাপাশি অব্যাংক পরিশোধ সেবাকারীদের তত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আইনি কাঠামোর
প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সেজন্য এ আইন করা হয়েছে। শুধুমাত্র কন্ট্রাক্ট আইন দিয়ে টেকিনিক্যালি
কাভার করা যাচ্ছিল না সব, এজন্য একটি স্পেশাল আইন করা হয়েছে।”