বাঁ কনুইয়ের এই চোট উইলিয়ামসনকে ভোগাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। চলতি নিউ জিল্যান্ড
গ্রীষ্মের দ্বিতীয় ভাগে ব্যথা নিয়েই খেলেছেন তিনি। এখন চোট এমন রূপ নিয়েছে যে, এই অবস্থায়
তার আর খেলার উপায় নেই বলেই মনে করছে নিউ জিল্যান্ডের ম্যানেজমেন্ট।
আবার ব্যাটিং শুরু করতে ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে উইলিয়ামসনের। পুরো ফিট
হতে লাগতে পারে সপ্তাহ তিনেক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাকে
পাবে না নিউ জিল্যান্ড। আইপিএলের কারণে অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে এমনিতেও তাকে পাওয়া
যাবে না বলে আলোচনা ছিল।
নিউ জিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড জানান, ব্যস্ত সূচি সামনে রেখে উইলিয়ামসনকে
নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না তারা।
“ কেন (উইলিয়ামসন) দেশের হয়ে খেলতে ভালোবাসে, সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তাই
সহজ ছিল না। কিন্তু একজন ব্যাটসম্যানের সামনের কনুই তার খেলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
চোটের যেহেতু উন্নতি হচ্ছে না, এটা স্পষ্ট যে কিছু একটা করতে হতোই।”
“ সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। মে-জুনে ইংল্যান্ড সফর আছে, আইসিসি
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কেন সেসবের জন্য যেন পুরো
ফিট থাকে এবং জ্বলে উঠতে পারে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের ৫ ম্যাচেই খেলেছেন
উইলিয়ামসন। একটিতে ফিফটি করলেও বাকিগুলোয় পারফর্ম করতে পারেননি। এর আগে পাকিস্তানের
বিপক্ষে দুই টেস্টের একটিতে করেন সেঞ্চুরি, আরেকটিতে ডাবল সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে
দুই ম্যাচ খেলে একটিতে করেন ফিফটি। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক টেস্ট খেলে
করেন ক্যারিয়ার সেরা ২৫১। সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য খেলতে পারেননি আরেক
টেস্টে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
লম্বা সময় উইকেটে কাটিয়েই উইলিয়ামসনের চোটের এই অবস্থা, ধারণা স্টিডের।
অধিনায়কের অনুপস্থিতি অন্যদের জন্য সুযোগ বলেও মনে করছেন কিউই কোচ।
“ ভেবে দেখতে হবে, এই বছর (মৌসুমে) সে কতটা সময় ব্যাটিং করেছে। মূলত এটিই
চোটকে ত্বরান্বিত করেছে, অতিব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া চোট এটি।”
“কেনের মতো একজনের মান ও তার নেতৃত্বের অভাব আমরা অবশ্যই অনুভব করব। তবে
কোনো সংশয়ই নেই যে তার না থাকা ওয়ানডে দলে কারও একজনের জন্য সুযোগ তেরি করে দেবে।”
উইলিয়ামসনের জায়গায় ওয়ানডে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন টম ল্যাথাম।
দলে সুযোগ পেতে পারেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দারুণ শুরু করা ডেভন কনওয়ে। কিউইদের
দল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাকে না পাওয়া অনেকটা নিশ্চিতই।
আপাতত আইপিএলকে লক্ষ্য করেই উইলিয়ামসনের পুনবার্সন চলবে, নিশ্চিত করলেন কোচ স্টিড।
“ তিন সপ্তাহের মতো সময়ে কেন প্রস্তুত হয়ে ওঠার কাছাকাছি থাকবে, আইপিএল
শুরুর সময়কালও সেটি। আমরা তার সঙ্গে ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে কথা কথা চালিয়ে
যাব যেন শতভাগ ফিট হলেই কেবল আবার মাঠে নামে।”
“ আমরা চাই, কেন যেন ব্যথামুক্ত থেকে ব্যাট করতে পারে ও লম্বা সময় উইকেটে
কাটাতে পারে। তার শারীরিক অবস্থার দেখভাল করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার
মনে হয় না, এই চোট লম্বা সময়ের সমস্যা হবে। স্রেফ এই বিশ্রামটুকুই তার প্রয়োজন।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ শুরু ২০ মার্চ, টি-টোয়েন্টি
সিরিজ ২৮ মার্চ। আইপিএল শুরু ৯ এপ্রিল।