ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: তিনটি বিষয় মানতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমরা যে যেখানে আছি
টিকা নিই বা না নিই, তিনটি বিষয় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, অবশ্যই যেন মাস্ক ব্যবহার করি,
যথাসম্ভব যেন সতর্কতা অবলম্বন করি আর তৃতীয়টি হচ্ছে পাবলিক গ্যাদারিং যেখানে হচ্ছে
সেখানে যেন লিমিটেড সংখ্যায় থাকি।

“নিজেরও যেন দায়িত্ববোধ থাকে বেশি সংখ্যাক
লোক যেখানে আছি সেখানে যেন না যাই। যারা যাবে তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি অনুগ্রহ করে মেনে
চলি।”

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল
মাধ্যমে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার ধারাবাহিকতায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও আবার পাঁচ শতাংশের উপরে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত একদিনে পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল পাঁচ দশমিক ১৩ শতাংশ।

গত এক দিনে
৯১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ৫৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর সকাল ৮টা পর্যন্ত
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞরাও
আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল
ইসলাম বলেন, “সভায় কোভিডের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা একেবারে
কমফোর্ট জোনে আছি এটা যেন চিন্তা করি না। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভাল আছি তবে এটি
নিশ্চয়তা দেয় না যে, একেবারে আমরা কমফোর্ট জোনে আছি।

“গত কয়েকদিন ধরে এক্সপার্টরা আলোচনা
করছেন যে, আমরা যেন খুব কমফোর্ট ফিল না করি। কারণ গত বছর খুব পিকে উঠেছে সামারে, এ
বছর যে উঠবে না তার নিশ্চয়তা নেই।”

তিনি বলেন, “আমরা যেটা মনে করেছিলাম
শীতকালে পিকে চলে যাবে। আমাদের পিক ছিল হাই সামারে, সুতরাং মে-জুন মাস হাই সামার হবে।
এক্সপার্টরা যা বলছে সে দিকটাও দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে, যেন আমরা যার যার জায়গা থেকে
কেয়ারফুল থাকি।”

মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রশাসন
মাঠে নামবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “দেখি আমরা বিষয়টা। আমরা প্রচার
করছি যে, একটা ভ্যাকসিন নিলে বিজ্ঞানীরা বলছে না যে আপনি পুরোপুরি নিরাপদ, ভ্যাকসিন
নিলেও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।”

টিকা নেওয়ার প্রবণতা কমার বিষয়ে সভায়
আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
এটা নিয়ে দুই-একদিনের মধ্যে কথা বলবে।”

সংক্রমণ ঠেকাতে কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া
হবে কিনা, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, “আগামীতে অবস্থা কেমন হয় মে মাসে গিয়ে দেখা যাবে। গ্রামেগঞ্জে
এ বিষয়ে মোটিভেশনাল কাজ করা হচ্ছে।”

লকডাউন বিষয়ে তিনি বলেন, “লকডাউনের বিষয়ে
ওইভাবে চিন্তা করিনি। যদি (সংক্রমণ) বাড়ে তাহলে আবারও বসবে। মানুষের জীবন ও জীবিকা
এ দুটো ব্যালেন্স করেই তো আমরা কাজ করে আসছি।”

রোজার মাসে পণ্য সরবরাহ নিয়ে মন্ত্রিসভায়
আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রমজানে কতগুলো পণ্য বিশেষভাবে জরুরি প্রয়োজন হয়ে যায়,
যেমন ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজ।

“এসব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ
সভায় আশ্বস্ত করেছে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা সে তুলনায় আমাদের মজুদ সন্তোষজনক রয়েছে।
টিসিবি যে আমদানি করছে তা রোজার আগেই চলে আসবে অন্তত ছয়টি যে পণ্য রোজার সময় বিশেষ
প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে অসুবিধা হবে না।

“আশা করা যায়, সাপ্লাইয়ের কোনো ঘাটতি
হবে না। দাম বাড়ার বিষয়টি অনেকটা মার্কেটের উপর নির্ভর করে। সাপ্লাই বেশি থাকলে দাম
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবে।”