গত বছরের মার্চে এক রাউন্ড হয়েই করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে
গিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের খেলা। এরপর তা আর শুরু করা যায়নি। অক্টোবর-নভেম্বরে তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের মূল আসরগুলি মাঠে গড়ায়নি একটিও।
জাতীয় দল ও এর আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের বাইরে দেশের ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশের জীবিকার উৎস ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট। মহামারীতে দীর্ঘ এক বছর ক্রিকেট না হওয়ায় তাদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা সঙ্গীন।
অবশেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের উদ্যোগ খানিকটা হলেও গতি পেয়েছে। সিসিডিএম কর্তারা ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা সভায় বসেছিলেন মঙ্গলবার। ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার ভাবনা নিয়ে আরেকটি সভা হয়েছে কদিন আগেও।
সভা শেষে মঙ্গলবার সিসিডিএম চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ জানালেন লিগ নিয়ে তাদের ভাবনা।
“মূল বিষয় যেটি আলাপ করা হয়েছে, আমাদের মূল চিন্তা ক্রিকেটারদের জন্য। প্রিমিয়ার লিগে ২০০ জনের বেশি ক্রিকেটার খেলে, এটাই তাদের মূল রুটি-রুজি। এখানে অনেকেই আছে, যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে না। এজন্যই আমরা চিন্তা করেছি, তাদের জন্য একটি উইন্ডো বের করতে হবে।”
“জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেহেতু আছে, বিভিন্ন দলের সঙ্গে চুক্তি আছে, তাদেরকে নিয়ে আমরা কীভাবে টুর্নামেন্টটা করতে পারি, কারণ গত বছর একটা চুক্তি আছে, ক্লাবগুলিও পেমেন্ট করে ফেলেছে…আমরা সেই বিষয় নিয়ে ক্লাবদের সঙ্গে বসে আলাপ করব।”
লিগ শুরুর সম্ভাব্য সময় ও সংস্করণ নিয়ে ধারণা দিলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।
“বিসিবির কাছ থেকে অপেক্ষায় আছি আমরা একটি উইন্ডোর জন্য। মে-জুন মাসে একটি-দুটি বা তিনটি উইন্ডো আমরা দেখছি। হয়তো বা দুই ভাগে করতে হবে। সেই উইন্ডোতে আমাদের এমনও হতে পারে, সংস্করণ পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে।”
“ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগেও আমরা ওয়ানডে করে পরে টি-টোয়েন্টি করেছি। আমাদের দিন যথেষ্ট বাকি নেই, মাঠ যতগুলো পাই সেই হিসেবে, আমরা বিবেচনা করতে পারি যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে নাকি না। এটা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার ব্যাপার আছে। সব ক্লাবের সঙ্গে আমরা বসব। ক্লাবগুলি একমত হলে বোর্ডের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চূড়ান্ত পরিকল্পনায় যেতে পারব।”
ক্লাবগুলির সঙ্গে আগামী শনি বা রোববার সিসিডিএমের সভা হতে পারে বলে জানালেন কাজী ইনাম।