একইসঙ্গে বিএনপির মহাসচির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ইতিহাস ‘বিকৃতির’ অভিযোগ এনে তার কুশপুতুলও পোড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তাদের কুশপতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির এই দুই নেতাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সবসময় আপোষহীন। গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ৭৫ মনে নাই?’ সেই সমাবেশে মিনু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন।
“এর আগে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তুলনা করে কটূক্তিমূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর বিক্ষোভের মুখে ফেইসবুক লাইভে এসে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মিনু। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ এবং আরেকটি ১৫ আগস্টের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”
তিনি বলেন, “মিজানুর রহমান মিনু বারবার অপরাধ করে বারবার ক্ষমা চাওয়া জাতির সাথে তামাশা করা বলে আমরা মনে করি। পুরো বিএনপি দলটি এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে। এধরণের কটূক্তির মাধ্যমে মিজানুর রহমান মিনু দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার জন্য মিজানুর রহমান মিনুকে দ্রুত গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে ‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগ এনে বুলবুল বলেন, মির্জা ফখরুল গংরা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস বিকৃতি করে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে অবৈধ সামরিক শাসক খুনী জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর খেলায় মেতে উঠেছে বিএনপি। দেশের মানুষ অতীতেও বিএনপির এহেন ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেবে।
মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, সদস্য কামরুল হাসান বক্তব্য দেন।