মঙ্গলবার নাটোর জেলা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়।
এই সময় আহত পুরোহিত অসিত বাগচি, তার স্ত্রী ক্ষমা বাগচি এবং পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
নাটোরের রানী ভবানী রাজবাড়ির শ্যামসুন্দর মন্দিরের পুরোহিত অসিত বাগচি তার উপর হামলায় অভিযোগ করেছিলেন সোমবার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মন্দির কমিটি নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে অন্য সদস্যদের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য মন্দিরের পুরোহিত অসিত বাগচিকে দিয়ে হামলার নাটক সাজান মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ।
এসপি লিটন বলেন, সোমাবার পুরোহিত অসিত শহরের মাদ্রাসা মোড়ে অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন; সেই ঘটনাকে হামলা বলে চালিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করে।
ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক যুবায়ের, এএসপি সদর সার্কেল মো. মোহসিন, সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অসিত তার অভিযোগে বলেছিলেন, সোমবার দুপুরে মুখে মাস্ক পরা কয়েকজন ব্যক্তি অর্তকিতভাবে মন্দিরে ঢুকে তাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে পুলিশের তদন্তের পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে অসিত বাগচি বক্তব্য পাল্টে দেন।
সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে তারা হামলার কথা প্রচার করেছেন। আসলে তিনি শহরের মাদ্রাসা মোড়ে অটোরিকশায় ধাক্কা খেয়ে পায়ে আঘাত পান।
অসিতের স্ত্রী ক্ষমা বাগচি বলেন, বর্তমানে মন্দির কমিটিতে বিরোধ চলছে। এই বিরোধ নিয়ে পুরো নাটক সাজিয়েছিলেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ দাস। তার সাজানো কথাগুলো তারা গণমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন।
নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সন্দেহ হলে এসপি স্যারের নির্দেশে আমরা মাঠে নামি। তদন্তের পর মনে হয়েছে পুরো ঘটনা সজানো। পুরোহিত কীভাবে আহত হয়েছেন তার প্রত্যক্ষদর্শীও খুঁজে বের করেছি।”