মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি
শেষে এ আদেশ দেন বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ সাংবাদিকদের জানান।
১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে হাজিরা পরোয়ানা
জারি করে মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন রেখেছিলেন।
এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন
মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা হেলাল
উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসলাম
চৌধুরীকে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামসহ সমমনা
১২ ইসলামী দল হরতাল ডাকে। এর সমর্থনে ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোতয়ালি থানাধীন
বাবুবাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন।
মিছিল থেকে তারা সরকার ও শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান
দিতে থাকেন। বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এতে
তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে; পুলিশও আত্মরক্ষার্থে লাঠি চার্জ
করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালায়।
এ ঘটনায় কোতয়ালি থানার এসআই এরশাদ হোসেন ২৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট থানায়
মামলা করেন। মামলায় ১০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা
হয়। এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলাটিতে ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের
সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে নাশকতা,
চেক প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামি হন আসলাম।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে নাশকতার এক মামলায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।