তারা
হলেন- বাসচালক মো. সবুজ (২৫) ও তার সহকারী মো. নাহিদ (১৯)।
তারা
এন মল্লিক পরিবহনের কর্মী বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান।
র্যাবের
আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে
জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কুচিয়ামারা সেতু এলাকা থেকে সবুজ
ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাসটিও জব্দ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা জেনেছি ওই পরিবহনের একজন কর্মকর্তার সহানুভূতির
কারণে বাকপ্রতিবন্ধী নারী বিনা পয়সায় যাতায়াত করতেন। এধরনের নির্দেশনা জানা সত্ত্বেও
চালক ও হেলপার এ অমানবিক কাজটি করেছেন।”
বাস
থেকে ফেলে দেওয়ার ওই ঘটনার একটি ভিডিও গত রোববার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের
মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার তাকে পুলিশ খুঁজে বের করে
এবং তার কাছ থেকে অভিযোগ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সোমবার
উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘দোহার-নবাবগঞ্জ সর্বসাধারণ’ ব্যানারে মানববন্ধন
করে এর প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাক প্রতিবন্ধী ওই নারী ঘটনার পর জানান, রোববার সকালে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা থেকে তিনি
এন মল্লিক পরিবহনের বাসে ওঠেন। ভাড়া দিতে না পারায় হেলপার তাকে রামেরকান্দা-রুহিতপুর
সড়কের ডাচ-বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেন।
এতে
ওই নারী মাথা ও কোমরে আঘাত পান। আশপাশের লোকজন তখন এগিয়ে আসেন। কী ঘটেছে জিজ্ঞেস করলে
তিনি কাগজে ঘটনার সারমর্ম লিখে দেন। তখন সবাই বুঝতে পারেন, তিনি বাক প্রতিবন্ধী।