যে
ছয়জনের মধ্যে নতুন এই ধরনটি পাওয়া গেছে, তারা সবাই যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিলেন।
আইইডিসিআরের
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্য
ফেরতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫-৬ জনের মধ্যে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে।
“জানুয়ারির
প্রথম দিকেই আমরা বেশ কয়েকটি ইউকে ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করি। ওইগুলো যুক্তরাজ্যের যে
ভেরিয়েন্ট তার হুবহু ছিল। পরবর্তী পর্যায়ে আরও কিছু কাজ হচ্ছে কাজ হচ্ছে,
সিকোয়েন্সিং হলে আমরা জানাব।”
করোনাভাইরাস
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর বহু বার রূপ বদল করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাওয়া
একটি ধরন এখন দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই ধরনটি বেশি প্রাণঘাতী বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্য ধরনটি আরও প্রাণঘাতী: গবেষণা
করোনাভাইরাসের
নতুন এই ধরনটি বাংলাদেশে এখনও ছড়াতে পারেনি বলে জানিয়ে ডা. আলমগীর বলেন, “কন্ট্রাক্ট
ট্রেসিং করে দেখেছি, তাদের (আক্রান্তদের) সংস্পর্শে এসে কেউ আক্রান্ত হননি।
“এখন
পর্যন্ত ইউকে স্ট্রেইন থেকে ছড়ানোর কোনো লক্ষণ, যেটা ইউকেতে স্প্রেডিং অনেক বেশি
হচ্ছে, সেরকম কিছু আমরা বাংলাদেশে দেখিনি।”
পৃথিবীর
৮০টির বেশি দেশে যুক্তরাজ্যের এই নতুন ধরনটি দেখা গেছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, এই ধরন
পৃথিবীর বেশি দেশে সংক্রমণ ঘটিয়েছে এমন নয়। যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি কিছু কিছু জায়গায়
ছড়াচ্ছে।
কিন্তু
বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে নতুন এই ধরনটি তার ছড়ানোর ক্ষমতা তেমন অর্জন করতে পারেনি
বলেই ধারণা আইইডিসিআরের।
“কারণ
আমরা এখন পর্যন্ত দেখিনি। আমরা ইউকে থেকে যারা আসছে, যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের
প্রত্যেকের স্যাম্পল আমরা সিকোয়েন্সিং করছি। সিকোয়েন্সিং করেই আমরা কয়েকটি পেয়েছি
এবং সিকোয়েন্সিং অব্যাহত আছে।”