এমনিতে জীবনমানসহ অনেক কিছুতে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে
তুলনাই চলে না বাংলাদেশের। নিউ জিল্যান্ড যোজন যোজন এগিয়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের টিকার
ক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়েই এগিয়ে বাংলাদেশ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়।
নিউ জিল্যান্ডে শুরু হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টিকার প্রথম
ডোজ নিয়েই নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়েছেন। কিউই ক্রিকেটারদের কাছে টিকা এখনও অধরা। সফরে
যাওয়ার আগে তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে বলে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে গেলেও অবশ্য নিউ জিল্যান্ডে
নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে তামিমদের। ক্রাইস্টচার্চে কোয়ারেন্টিনের
পর শেষ দফা কোভিড পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হওয়ায় বুধবার থেকে মিলেছে মুক্তি। নিউ জিল্যান্ডের
আর সবার মতোই মুক্ত ঘোরাফেরা করতে আর বাঁধা নেই তাদের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টিকা নিয়ে যাওয়ার খবর সেখানকার
সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব পেয়েছে যথেষ্টই। ক্রাইস্টচার্চ ছাড়ার আগে তামিম যখন মুখোমুখি
হলেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের, সেখানে টিকার প্রসঙ্গও উঠে এলো। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাথা
উঁচু করে শোনালেন দেশ নিয়ে গর্বের কথা।
“ এটাই (টিকা নেওয়া) ভবিষ্যৎ, আমার মনে হয়। কোনো একটা
পর্যায়ে সবাইকেই নিতে হবে। দেশ হিসেবে আমাদের দেশ অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী
অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করেছেন। দারুণ কাজ করেছেন তিনি।”
“জাতি হিসেবে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। শুধু আমরা ক্রিকেটাররাই
নয়, সাধারণ মানুষও ভ্যাকসিন পাচ্ছে এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, সবার জন্য ফ্রি। জাতি
হিসেবে আমরা যা করেছি, বাংলাদেশকে নিয়ে আমি গর্বিত।”
তামিমের ধারণা, অন্য আরও অনেক দেশই বাংলাদেশের পথে
হাঁটবে। নিজের টিকা নেওয়ার অনুভূতিও জানালেন তিনি।
“ আমি নিশ্চিত অন্যান্যও দেশও এটা অনুসরণ করবে এবং
আগে হোক বা পরে, সবাইকে নিতেই হবে। আমি নিজেও প্রথম ডোজ নিয়েছি। খারাপ লাগেনি, কোনো
কিছু অনুভব করিনি। দারুণ ছিল সবকিছু।”