বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন থেকে বুধবার পুলিশি হেফাজতে আটক ওই কিশোরদের উপর চরম নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এবং লন্ডন ভিত্তিক বাহরাইন ইন্সটিটিউট ফর রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (বিআইআরডি) পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আটক বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রায় ১৩ জনের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে আটক করা হয়েছে।
‘আরব বসন্তের’ দশম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল।
‘‘১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি আটক হওয়া পাঁচ কিশোর বলেছে, পুলিশ তাদের থানায় মারধর করেছে, অপমান করেছে এবং গাড়ির ব্যাটারি দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
‘‘এক পুলিশ কর্মকর্তা ১৩ বছরের এক কিশোরের মাথায় আঘাত করেন এবং তাকে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয় এবং তার যৌনাঙ্গে মারা হয়।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে বাহরাইন সরকারের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বাহরাইন সরকার মানবাধিকারের সুরক্ষার বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করে। এছাড়া, বিচারিক প্রক্রিয়ায় আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে অসদাচরণ বিষয়ে সরকার ‘জিরো-টরালেন্স নীতি অনুসরণ’ করে।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, বাহরাইন পুলিশ টায়ার পোড়ানো এবং সড়ক অবরোধ করে রাখার মত কারণেও কয়েকজন কিশোরকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ভাংচুর, ভুয়া বোমা হামলার পরিকল্পনা এবং পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই কিশোরদের মধ্যে এখনো চারজন পুলিশি হেফাজতে আছে। যাদের মধ্যে ১৬ বছরের এক কিশোর গুরুতর রোগে আক্রান্ত।