বুধবার বগুড়ায় বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি উত্তরাঞ্চলের ৪৬ জন হল মালিক দিনব্যাপী
মতবিময় সভা করেছেন।
বগুড়ার মধুবন
সিনেপ্লেক্সে আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ এই মতবিনিময় সভায় সিনেমা হলগুলিতে দর্শক ফেরাতে
ডিজিটালাইজ করা, ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ, প্রয়োজনে ভারতের চলচ্চিত্র আমদানিসহ বেশ
কয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আওলাদ
হোসেন উজ্জ্বল, উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার, বগুড়ার
মধুবন সিনেকমপ্লেক্সের স্বত্ত্বাধিকারী আর এম ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
সমিতির সভাপতি কাজী
শোয়েব রশীদ বলেন, “চলচ্চিত্রকে ইন্ড্রাস্ট্রি বলা হলেও আমরা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল
বেনিফিট পাই না। চলচ্চিত্র এখন ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। আগে সিসিইউতে ছিলাম এখন
আইসিইউতে আছি।”
তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত
এক হাজার কোটি টাকার ঋণের মেয়াদ ২০ কিংবা ১৫ বছর করা হোক এবং সুদের হার দুই শতাংশ
করা হোক।
হলে দর্শক আসা কিংবা না
আসা বিষয়ে তিনি বলেন, “মানসম্মত এবং ভালো ছবি এখন হচ্ছে না। দুয়েকজন হয়ত করছে। ৬০ দশকের
ছবি দেখুন আর এখনকার ছবি।”
বাইরে থেকে ছবি আনলে
প্রতিযোগিতা হবে এবং দেশে ভালো ছবি তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক
আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, দেশে দেড় হাজার সিনেমা হলেল মধ্যে দেড়শ হল চালু রয়েছে। নানা
প্রতিকূলতায় হলগুলি বন্ধ হলেও আবার অধুনিকীকরণ করে স্বগৌরবে ফিরবে।
গাইবান্ধার হল মালিক এস
এম ইদ্রিস বলেন, “ভালো ছবির অভাবে হলে দর্শক নেই। ভালো ছবি হলে ঠিকই দর্শক হলে
ফিরবে। হল মালিকদের বাঁচাতে হলে বিদেশি ভালো ছবি আনার অনুমতি দিতে হবে।”
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
প্রদর্শক সমিতির সাংস্কৃতিক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বগুড়া মধুবন সিনেপ্লেক্সের
মালিক আর এম ইউনুস রুবেল বলেন, স্বাধীনতার পর উত্তরাঞ্চলে ৩শ সিনেমা হল ছিল। এখন রয়েছে মাত্র ৫০টি;
তার অধিকাংশই চলছে না। বাকি সব মালিক অন্য পেশায় চলে গেছেন। বগুড়া জেলায় ২৫টি
সিনেমা হল ছিল, এখন আছে মাত্র ৬টি।