ক্যাটাগরি

সরকারিভাবে আরও সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দরপত্র ছাড়াই চাল কেনার বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগের বৈঠকেও স্বল্প সময়ের দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন নিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বৈঠকের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পরে সাংবাদিকদের বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে ওই চাল সংগ্রহ করবে।

“যেহেতু টেন্ডার করলে পরে পাওয়া যায় না। সময় অনেক বেশি লাগে, এছাড়া দামও ওঠানামা করে, দাম আমাদের পক্ষে আসে না। প্রাইসও এখন আফওয়ার্ড ট্রেন্ডের দিকে আছে। তাই এই প্রক্রিয়ায় চাল সংগ্রহ করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।“

দেশের চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকারি মজুদ কমে যাওয়ার পর গত আড়াই মাস ধরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির চেষ্টা করছে সরকার।

ইতোমধ্যে ভারত থেকে কিছু চাল আমদানি করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বাইরেও স্বল্প মেয়াদী দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানির একটি উদ্যোগ চলমান।

গত সোমবার পর্যন্ত সরকারি ভাণ্ডারে ৫ লাখ টন চাল মজুদ ছিল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

বেসরকারি পর্যায়ে ৩২০ জন ব্যবসায়ীকে ১৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও বিশ্ববাজারে ঊর্ধমুখী প্রবণতার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ এলসিও খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।

সোমবার পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টন চালের এলসি খোলা হয়েছে, এর মধ্যে দেশে এসেছে মাত্র দুই লাখ ৬০ হাজার টন চাল। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে কেনার চেষ্টা করছি, যাতে এক জায়গায় ফেইল করলে অন্য জায়গা থেকে সেটা সামাল দেওয়া যায়। রিস্কটাকে আরও কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে কেনার চেষ্টা করছি।”

ভারতের পাঞ্জাব স্টেট সিভিল সাপ্লাই করপোরেশন থেকে দেড় লাখ টন সেদ্ধ চাল, থাইল্যান্ডের সাকোন্নাক্ষণ ন্যাশনাল ফার্মার্স কাউন্সিলের কাছ থেকে দেড় লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ভিয়েতনামের সাদার্ন ফুড করপোরেশনের কাছ তেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার কথা অর্থমন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “চালের দামটা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি থেকে অনুমোদন দিয়েছি, যেন তারা দরদাম ঠিক করতে পারে। আলোচনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সংগ্রহ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদমাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত বৈঠকে নীতি পরিবর্তন করে মাত্র ১০ দিন মেয়াদী দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল।

“আজকের বৈঠকে জিটুজি ভিত্তিতে আরও সাড়ে তিন লাখ টন আমদানির অনুমোদন নেওয়া হল। সবগুলো পরিকল্পনাই বাস্তবায়নাধীন।”