বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ও সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিং কাছ থেকে এলএনজি
কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
বলেন, এওটি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ৮ দশমিক ৩৪৫ ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি
কেনা হচ্ছে। ভ্যাট, ট্যাক্সসহ এতো মোট খরচ হচ্ছে ২৭৮ কোটি ৭০
লাখ ২৫ হাজার ১২৪ টাকা।
আর সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া থেকে
একই পরিমাণ কেনা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ৭ দশমিক ২১ ডলার। ভ্যাট, ট্যাক্সসহ
এতে মোট খরচ হচ্ছে ২৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮০ টাকা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সিঙ্গপুরের
ভিটল এশিয়া থেকে দুই ধাপে প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৩১২৩ ডলার ও ৯ দশমিক ৩৬১১ ডলারে
একই পরিমাণ এলএনজি কেনা হয়েছিল।
বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ার
কারণে সমুদ্রে ভাসমান দুটি এফএসআরইউ থেকে গ্যাস গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া হয়। এলএনজি সরবরাহ
দৈনিক সাড়ে ৭০০ এমএমসিএফ থেকে কমিয়ে গত জানুয়ারি মাসে নিয়ে আসা হয়েছিল ৪০০ এমএমসিএফে।
৬৭২০ এমএমসিএফ এলএনজি কেনা হচ্ছে
তবে জিটিসিএলের গত সোমবারের তথ্য
অনুযায়ী ভাসমান দুটি এফএসআরইউ থেকে এখন দৈনিক ৮৩৫ এমএমসিএফ এলএনজি আসছে।
ক্রয় কমিটির বৈঠকে নির্মাণাধীন
‘কুড়িগ্রাম
(দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থল বন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’
প্রকল্পের একটি
অংশের কাজ মঈনুদ্দিন লিমিটেডকে দেওয়া হয়। ডব্লিউপি-০২ প্যাকেজের এই কাজে খরচ হবে ১৩৬ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৭ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সড়কটি জাতীয়
জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ককে মহাসড়কে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
একনেক থেকে আগেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি প্যাকেজে ভাগ করে কাজটি হবে।