ক্যাটাগরি

২২ বছর পর সম্মেলনে যাচ্ছে কৃষক দল

শুক্রবার গুলিস্তানের
মহানগর নাট্যমঞ্চে সংগঠনটির চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন হবে। এর আগে কৃষক দলের সর্বশেষ সম্মেলন
হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৬ মে, রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে।

কৃষক দলের আহ্বায়ক
শামসুজ্জামান দুদু বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের জাতীয় সম্মেলনের বিস্তারিত কর্মসূচি
তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১২
মার্চ সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হবে কাউন্সিল অধিবেশন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা্ন তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাউন্সিলে যোগ
দেবেন।

কৃষক দলের জাতীয়
সম্মেলনে মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৭৯ সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রতি জেলা
থেকে ৫ জন করে মোট ৩৯৫ জন এবং কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১৫৩ জন সদস্য কাউন্সিলর হিসেবে
থাকবেন।

নেতৃত্ব নির্বাচন
কীভাবে হবে জানতে চাইলে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমাদের দুইভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন
হয়। সেটা হচ্ছে সাবজেক্ট কমিটি বসে নেতৃত্ব নির্বাচন করে, যেটা সব সময় হয়ে আসছে। আর
সেটা যখন ফেইল করে তখন আমরা আমাদের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করি।”

সংবাদ সম্মেলনে
কৃষকদের ওপর ‘নিপীড়ন-নির্যাতন-শোষন’ বন্ধ করা; ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল ও ভুট্টা আমদানি
বন্ধ করা; সরকারিভাবে ‘প্রকৃত’ কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে চাল কেনা; কৃষিতে ভর্তুকি
বৃদ্ধি; বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমানো; প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে সরাসরি
কৃষি ঋণ প্রদানসহ ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করেন কৃষক দলের প্রধান দুদু।

কৃষক দলের সম্মেলন
প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই
সংবাদ সম্মেলন হয়।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার
পর ১৯৮০ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান। সে সময়
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।

এরপর ১৯৯২ সালে
আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে সভাপতি করে কৃষক দলের প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। সাধারণ সম্পাদক
করা হয় শামসুজ্জামান দুদুকে।

১৯৯৮ সালে মাহবুব
আলম তারাকে সভাপতি ও দুদুকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি হয়। এরপর ২০০১ সালে মাহবুব
আলম তারা কৃষক দল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দি্লে মজিবুর রহমান মোল্লা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
হন।

২০০৭ সালে তার
মৃত্যুর পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৬ সালের
১৯ মার্চ মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব হওয়ার পর কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব
ছাড়েন।

দীর্ঘদিন পর
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ১৫৩ সদস্যের
আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।

কৃষক দলের সদস্য
সচিব হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি,
নাজিমউদ্দিন মাস্টার, সদস্য নাসির হায়দার, সাবেরুল হক সাবু, নাসির হাজারী, মাইনুল ইসলাম,
এসকে সাদী, মিয়া মো. আনোয়ার, মেহেদি হাসান পলাশ, ভিপি ইব্রাহীম, জাহাঙ্গীর হোসেন, কেএম
রকিবুল ইসলাম রিপন, সাখাওয়াত হোসেন নান্নু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।